West Bengal Lockdown

‘পোকা’ চালে, চলল বিক্ষোভ

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রশাসনিক নির্দেশ অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে রেশন সামগ্রী বিলি শুরু হয় মঙ্গলকোটের উত্তর ব্রহ্মপুরের ৩৩৪ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মঙ্গলকোট শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২০ ০১:৫৬
Share:

এই চাল নিয়েই নালিশ। নিজস্ব চিত্র

শিশুদের খাওয়ার জন্য দেওয়া রেশনের চাল-ডালে পোকা লেগেছে, আলু থেকে বেরোচ্ছে দুর্গন্ধ— এমনই অভিযোগে মঙ্গলকোটের উত্তর ব্রহ্মপুরে দুই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে আটকে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকদের একাংশ। ঘণ্টাখানেক পরে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার চাল বিলির আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রশাসনিক নির্দেশ অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে রেশন সামগ্রী বিলি শুরু হয় মঙ্গলকোটের উত্তর ব্রহ্মপুরের ৩৩৪ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। ওই ছাত্রছাত্রী পিছু তিনশো গ্রাম করে ডাল দেওয়া হয় অভিভাবকদের। বুধবার দু’কেজি চাল ও দু’কেজি আলু দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে হাজির হন অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। চাল দেখার পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। অভিভাবক গৌড় ঘোষ, অপরাজিতা ঘোষ, মৌসুমী ঘোষেদের অভিযোগ, ‘‘চাল এতটাই পুরনো যে পোকা ধরে ক্ষয়ে গিয়েছে। ডাল থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। আলুও পচা।’’

জানা গিয়েছে, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বর্তমানে জনা ২০ পড়ুয়া ও জনা চারেক প্রসূতি রয়েছেন। এত নিম্ন মানের খাবার খেলে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়বেন বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। প্রভাত ঘোষ, আশিস ঘোষদের অভিযোগ, ‘লকডাউন’ শুরু হওয়ার পরে, প্রথমবার যখন রেশন সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল তখনও এই ধরনের পচা চাল, ডাল দেওয়া হয়। সে বার অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হলেও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ‘পাত্তা দেননি’। এ দিন অবশ্য ওই কেন্দ্রের দুই কর্মী সোমা দাস ও ঝর্না প্রধানকে আটকে রাখেন তাঁরা।

Advertisement

সোমাদেবীর দাবি, ‘‘লকডাউন শুরু হওয়ার আগে আমাদের কেন্দ্রে যে চাল, ডাল ছিল তাই ঝেড়ে পরিষ্কার করে বিলি করেছি। আমাদের নতুন চাল, ডাল এখনও অবধি দেওয়া হয়নি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পুরো ঘটনাটি জানিয়েছি।’’ স্থানীয় ভাল্যগ্রামের প্রধান প্রতিমা ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টা শুনেছি। শিশু ও প্রসূতিদের এত নিম্ন মানের খাবার কখনই খাওয়ানো যায় না’’। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

মঙ্গলকোটের ‘চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসার’ (সিডিপিও) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘অভিভাবকেরা ডাল ও আলু নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের পরিষ্কার চাল দেওয়ার হবে।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement