—ফাইল চিত্র।
আগামী মে মাস থেকে ‘জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা যোজনা’ (এনএফএসএ)-র মধ্যে থাকা প্রত্যেক উপভোক্তাকেও রেশনের মাধ্যমে চাল দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। মঙ্গলবার রাজ্য স্তরে এক বৈঠকের পরে ডিস্ট্রিবিউটরেরা এফসিআইয়ের গুদাম থেকে চাল তুলতে শুরু করে দিয়েছেন। এ মাসে বিনামূল্যে রেশনসামগ্রী বিলি করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়ে খাদ্য দফতর। আগামী মাস থেকে যাতে ওই সমস্যা না হয় তার জন্য এখন থেকেই ব্যবস্থা নিতে চলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (খাদ্য, শিক্ষা ও কৃষি) হুমায়ুন বিশ্বাস বলেন, “৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব ডিলারের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা যোজনার আওতায় থাকা পরিবারগুলিও চাল পাবে।’’
খাদ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, ১ এপ্রিল থেকে বিনামূল্যে তিন শ্রেণির উপভোক্তাদের মধ্যে চাল, আটা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার মধ্যে খাদ্যসামগ্রী না পৌঁছনোয় জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পাঁচ-সাত দিন ধরে রেশন সামগ্রী উপভোক্তাদের মধ্যে সরবরাহ করা যায়নি। বিভিন্ন রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে কম খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। খণ্ডঘোষের এক ডিলারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শো-কজ করা হয় আরও সাত জনকে। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল এম আর ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের’ জেলার সভাপতি পরেশনাথ হাজরা বলেন, “আমরা চাই, খাদ্য দফতর আরও নজরদারি বাড়াক। তাতে কেউ শাস্তি পেলে আমাদের কিছু করার নেই।’’
পূর্ব বর্ধমানে ১,৩৫৬টি রেশনের দোকান রয়েছে। সেখান থেকে ৫১,৪২,৪৪০ জন উপভোক্তার কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছচ্ছে। এ ছাড়া, ‘ফুড কুপন’ নিয়ে খাদ্য সামগ্রী তুলছেন আরও ১,৯২,৪৭৬ জন। রাজ্য সরকার মে মাস থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অন্ত্যোদয় (এএওয়াই), অগ্রাধিকার ও বিশেষ অগ্রাধিকার পরিবারগুলিকে অতিরিক্ত পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “আরকেএসওয়াই এক ও দুই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত লোকেরা গমের বদলে চাল পাবেন।’’
মঙ্গলবার বিকেলে খাদ্য দফতরের একটি বৈঠকে ঠিক হয়, মে থেকে এনএফএসএ-র আওতায় থাকা পরিবারের সদস্যদেরও রেশন থেকে চাল দেওয়া হবে। সে জন্য ডিলারদের প্যাকেট করে উপভোক্তাদের হাতে চাল তুলে দেওয়ার কথা হয়। ডিলারেরা জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে চাল ওজন করে প্যাকেট করা এক প্রকার অসম্ভব। ডিলারদের সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, “জুন থেকে উপভোক্তাদের হাতে প্যাকেটে করে চাল ডিলারেরা পৌঁছে দেবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা এফসিআইয়ের গুদাম থেকে চাল তুলতে শুরু করে দিয়েছি।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)