জল-সঙ্কট মেটানো লক্ষ্য জেলা পরিষদের

সভাধিপতি হলেন বিশ্বনাথবাবু ও সহ-সভাধিপতি সুধাকর কর্মকার। অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক ও আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৭ ০০:৪৫
Share:

বিশ্বনাথ বাউড়ি ও সুধাকর কর্মকার

নতুন জেলার প্রায় সব এলাকাতেই সবচেয়ে বড় সমস্যা পানীয় জলের। নবগঠিত জেলা পরিষদ সেই সমস্যা দূর করতে জোর দেবে, দায়িত্ব নিয়ে জানালেন নতুন সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউড়ি। শুধু জলসঙ্কট মেটানো নয়, নির্মল বাংলা-সহ অন্য নানা প্রকল্প রূপায়ণেও জোর দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

পশ্চিম বর্ধমানের জেলা পরিষদ গঠন হল সোমবার। এ দিন দুপুরে জেলা পরিষদ ভবনে এক অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) বাসব বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাধিপতি হলেন বিশ্বনাথবাবু ও সহ-সভাধিপতি সুধাকর কর্মকার। অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক ও আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

এ দিন মোট ১৭ জন সদস্যের শপথ নেওয়ার কথা থাকলেও ব্যক্তিগত কারণে এক তৃণমূল সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। তৃণমূলের ১৪ জন ও সিপিএমের দু’জন সদস্য শপথ নেন। এর পরে সভাধিপতি পদের জন্য বিশ্বনাথ বাউড়ির নাম প্রস্তাব করেন পূর্বতন জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধক্ষ্য নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। সহ-সভাধিপতি পদের জন্য সুধাকরবাবুর নাম প্রস্তাব করেন প্রাক্তন সহ-সভাধিপতি প্রিয়া সূত্রধর। দু’টি ক্ষেত্রেই অন্য কোনও নাম প্রস্তাব হয়নি। শপথ শেষে বিশ্বনাথবাবু বলেন, ‘‘দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন। রাজ্যের উন্নয়নমূলক পরিকল্পনাগুলি সফল করাই প্রথম কাজ। পানীয় জলের সমস্যা মেটানো থেকে নির্মল বাংলার রূপায়ণ, সব ক্ষেত্রেই আমরা জোর দেব।’’

Advertisement

ইসিএলের মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বনাথবাবু প্রায় তিরিশ বছর আগে রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৮৮ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে রতিবাটি পঞ্চায়েতের সদস্য হন। ১৯৯৫ সালে ইসিএলের চাকরিতে যোগ দেন। সংস্থার সাতগ্রাম এরিয়ার কোয়ারডি খনির এই আধিকারিক লিয়েনে ছুটি নিয়ে ২০১৩ সালে তৃণমূলের টিকিটে জিতে জেলা পরিষদের সদস্য হন। এ বার সভাধিপতি হলেন।

বারাবনির বাসিন্দা সুধাকরবাবু এলাকায় জনপ্রিয় শিক্ষক। তিনি রাজনীতিতে আসেন প্রায় ৫০ বছর আগে। ১৯৬৮ সালে পাঁচগাছিয়া মনোহরবহাল বিবেকানন্দ বিদ্যায়তনে ইতিহাসের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালে প্রথম কংগ্রেসের টিকিটে জেতেন নুনি পঞ্চায়েতে। ১৯৯৩ ও ১৯৯৮ সালে পরপর দু’বার জিতে ওই পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য ছিলেন। ২০০৬-এ শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১৩ সালে জেলা পরিষদ সদস্য হন।

অবিভক্ত বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৭৫ জন। জানা গিয়েছে, ভাগ হওয়ার পরে পূর্বে ৫৮ জন সদস্য ও পশ্চিমে ১৭ জন সদস্য থাকছেন। ৩১টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৮টি পড়েছে পশ্চিম বর্ধমানে। প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলা ভাগ হওয়ার পরপরই জেলা পরিষদ ভাগ করা হবে কি না, খানিক ধন্দ ছিল। যদিও নবান্নের তরফে নতুন জেলা ঘোষণার দিন কয়েক পরেই জেলা পরিষদ ভাগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement