উন্নয়ন সংক্রান্ত পর্যালোচনার বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার কারণ দর্শাতে সালানপুর পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ দফতরের সমস্ত কর্মী, আধিকারিক এবং দেন্দুয়া পঞ্চায়েতের প্রধানকে নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন।
প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বারাবনিতে ওই প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমানের জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু ও জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন-সহ প্রশাসনের কর্তারা। বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য সালানপুর ব্লকের ১১টি ও বারাবনির ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান-সহ সমস্ত কর্মী আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই বৈঠকেই সালানপুর পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ দফতরের সমস্ত কর্মী, আধিকারিক এবং দেন্দুয়ার প্রধান অনুপস্থিত ছিলেন বলে খবর। জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, ‘‘নির্দেশ অমান্য করার জন্যই নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ জেলা সভাধিপতি দেবু টুডুও বলেন, ‘‘ওঁরা উপস্থিত না থেকে উন্নয়নমূলক কাজও ব্যহত করছেন। তাই ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’
বৈঠকে সালানপুরে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়েও জেলা প্রশাসনের কর্তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলে খবর। বৈঠক শেষে দেবুবাবু বলেন, ‘‘সালানপুরের উন্নয়নের কাজ সন্তোষজনক নয়। এই ব্লকে গীতাঞ্জলি প্রকল্পের কাজও ভালমতো এগোয়নি।’’ জেলা প্রশাসনের তরফে ব্লকের আধিকারিকদের ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা বিলি, তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য নির্ধারিত প্রকল্প, শৌচাগার তৈরির কাজ দ্রুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা সভাধিপতি জানান, দিন কয়েকের মধ্যে ফের পর্যালোচনা করে দেখা হবে ব্লকে এই কাজগুলির কী রকম অগ্রগতি হয়েছে।