এমনই হাল গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। নিজস্ব চিত্র
মাত্র আধ ঘণ্টার বৃষ্টি। সোমবার সন্ধ্যায় তাতেই জল থইথই গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল, তখনও জল পুরোপুরি নামেনি। জমা জলের পাশাপাশি, বেহাল নিকাশিও। স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বারবার পুরসভাকে বলা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
চিকিৎসক দেবজ্যোতি ঘোষ জানান, বৃষ্টির জেরে হাসপাতালের বহির্বিভাগ, স্টোররুম, ফার্মাসি-সহ গোটা চত্বর জলমগ্ন হয়ে পড়ে। আবাসনেও জল জমে। তাঁর ক্ষোভ, ‘‘জল ডিঙিয়ে চলাচল করাটা অত্যন্ত সমস্যার। ঘরগুলো স্যাঁতসেঁতে হয়ে যাচ্ছে। এই পরিবেশে ওষুধ থাকলে তা-ও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’’ এক স্বাস্থ্যকর্মী জানান, সোমবার হাঁটুজল জমেছিল! জলের সঙ্গে অনেক সময়ে সাপ, ব্যাঙ ও নানা কীটপতঙ্গ ঢুকে পড়ছে ঘরে। এমনকি, রোগী দেখার ঘরটিও জলমগ্ন হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার সকালে দেখা গিয়েছে, হাসপাতাল চত্বর-সহ দু’-একটি ঘরে তখনও জল জমে। ওষুধের গুদামঘরে পলি পড়ছে। বাক্সভর্তি ওষুধ বেঞ্চের উপরে তুলে রেখেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁরা জানান, নিকাশির হাল এমনই যে, হাতে করে জল বার করতে হয়েছে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি পুরসভা থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে বড় গেট ও হাসপাতাল চত্বর ঢালাই করা হয়। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থার মানোন্নয়নে পদক্ষেপ করা হয়নি। অভিযোগ, ওই টাকা খরচ করে বহির্বিভাগটি সংস্কার করে উঁচু করা হলে এই সমস্যা হত না।
বিষয়টি নিয়ে পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক আকলিমা খাতুন জানান, জায়গাটি নিচু হওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছে। নালাগুলি ঠিক মতো আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশপাশি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে বেশি জল জমলে পাম্প চালিয়ে তা বার করার বিষয়েও আশ্বাস দেন তিনি।