ইভিএম যন্ত্র প্রদর্শন করা হল আসানসোলে। নিজস্ব চিত্র
নতুন ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহ দিতে জেলার একাধিক স্কুল ও কলেজে নির্বাচনী ক্লাব বানিয়ে প্রচার অভিযানে নেমেছেন আধিকারিকেরা। একই সঙ্গে জেলার এক জনপ্রিয় ‘সর্বজনগ্রাহ্য’ ব্যক্তিত্বকে দিয়েও ভোটদানে উৎসাহব্যঞ্জক তথ্যচিত্র বানিয়ে প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শহর ও গ্রামাঞ্চলের প্রত্যেক ভোটারকেই বুথমুখী করতে এমন আরও কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (নির্বাচন) প্রশান্তকুমার মণ্ডল।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের এ বার ভোটের দিন বুথমুখী করার জন্য নানা পদক্ষেপ কতখানি কার্যকর হচ্ছে, তা দেখতে দুই মহকুমাশাসকের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিডিও-দের নিয়ে গঠিত কমিটি নজরদারি চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এ ছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত ১৯৭টি স্কুল ও ১০টি কলেজে শুধুমাত্র পড়ুয়াদের জন্য নির্বাচনী ক্লাব তৈরি করা হয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকেরা নিয়মিত ক্লাব সদস্যদের ভোটদানের প্রয়োজনীয়তা ও নির্বাচনবিধি বোঝাচ্ছেন। বিষয়টি সম্পর্কে জেনে পড়ুয়ারাও ভোটদানের উপযোগীতা বোঝাচ্ছেন পড়শি ও অন্য নতুন ভোটারদের।
প্রশান্তবাবু বলেন, ‘‘তথ্যচিত্র বানিয়ে তা জেলার ১৬টি সিনেমা হল এবং জনবহুল এলাকায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হবে।’’ তিনি জানান, এ বছর ইভিএম মেশিন সংরক্ষণ ও ভোট গণনাকেন্দ্র পরিবর্তন করে যথাক্রমে আসানসোলের ধাদকার একটি পলিটেকনিক কলেজ, ঊষাগ্রামের একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুল এবং জেলাশাসকের দফতর লাগোয়া একটি বেসরকারি ইংরেজিমাধ্যম স্কুলে করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই জায়গাগুলি দেখে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকেরা ইতিমধ্যে মৌখিক সম্মতিও জানিয়েছেন। জেলা ভাগের আগে প্রতিটি সাধারণ নির্বাচনে ইভিএম সংরক্ষণ ও ভোট গণনাকেন্দ্র হত আসানসোলের এসবি গড়াই রোড লাগোয়া একটি বেসরকারি ইংরেজিমাধ্যম স্কুলে। নতুন জেলা গঠনের পরে প্রশাসনের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, জেলাশাসকের কার্যালয়ের কাছে অপেক্ষাকৃত ফাঁকা ও যোগাযোগের সুবিধা রয়েছে, এমন জায়গায় ইভিএম সংরক্ষণ ও ভোট গণনাকেন্দ্র বানাতে হোক। তাই এই কেন্দ্র পরিবর্তন।