River Erosion

নদী ভাঙনের আতঙ্কে ঝাউডাঙা

গ্রামবাসীর দাবি, গত ৩১ বছর ধরে গ্রামের রাস্তা, জমি-সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থান তলিয়ে গিয়েছে নদীতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২১ ০৫:৪৪
Share:

পাড় ভাঙছে ঝাউডাঙায়। নিজস্ব চিত্র।

ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ভারী বৃষ্টির পর থেকেই জল বেড়েছে ভাগীরথীতে। পূর্বস্থলী ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। এলাকাবাসীর দাবি, ঝাউডাঙা এলাকায় সব থেকে বেশি পাড় ভাঙছে নদী।

Advertisement

ঝাউডাঙা, হালতাচরা, রুদ্রডাঙা, কাশীপুরের মত কয়েকটি গ্রাম রয়েছে এই পঞ্চায়েতে। দু’পাশে নদী থাকায় কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো এই পঞ্চায়েত এলাকায় পৌঁছতে হলে ভরসা নৌকা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দু’কিলোমিটার লম্বা এলাকা জুড়ে রয়েছে ভাঙন দেখা দিয়েছে ঝাউডাঙায়। গ্রামবাসীর দাবি, গত ৩১ বছর ধরে গ্রামের রাস্তা, জমি-সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থান তলিয়ে গিয়েছে নদীতে। বর্তমানে ভাঙন এলাকার খুব কাছাকাছি রয়েছে স্কুল, বাঁশবাগান, আমবাগান-সহ বেশ কিছু বাড়ি। বেড়েছে আতঙ্কও।

গ্রামের বাসিন্দা প্রহ্লাদ ঘোষ বলেন, ‘‘বেশ কয়েকবার ভাঙন রোধে নদীর পাড়ে বালির বস্তা, বাঁশের খাঁচা দিয়েছে সেচ দফতর। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। নদীতে তলিয়ে গিয়েছে বাঁশের খাঁচা। ঝাউডাঙা এলাকাকে বাঁচাতে গেলে পাথর ফেলে পাড় বাঁধানোর কাজ করতে হবে।’’ আর এক বাসিন্দা গোপেশ্বর দে-র দাবি, ‘‘১৯৯০ সাল থেকেই গ্রামে ভাঙন শুরু হয়। আমার ৩০ বিঘা জমি তলিয়ে গিয়েছে। এক বার বাড়ি বদলেছি। এখন যেখানে থাকি, সেটাও কত দিন নিরাপদ জানি না।’’

Advertisement

ব্যবসার কাজে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থেকে ঝাউডাঙায় আসেন আজিম শেখ। তিনিও বলেন, ‘‘এক-দু’দিন নয়। ঝাউডাঙা আসছি টানা এক দশক ধরে। প্রথমে যে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতাম সেটি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে অনেকদিন আগে। এখন যে রাস্তা ব্যবহার করি সেটাও নিরাপদ নয়।’’ শক্তপোক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে গোটা এলাকাই হারিয়ে যাবে, আশঙ্কা বাসিন্দা প্রশান্ত দে-র।

বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় জানান, বিষয়টি নিয়ে সেচ দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। আজ, শনিবার বিডিও, সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে ঝাউডাঙা, যজ্ঞেশ্বরপুর, দামপাল, ন’পাড়া, তামাঘাটার মতো কয়েকটি এলাকা ঘুরে ভাঙন পরিস্থিতি দেখার কথা রয়েছে। বিধায়ক বলেন, ‘‘ঝাউডাঙায় প্রায় দু’কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে ভাঙন। ভাঙন রোধে পাকাপাকি ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। তবে পাথর-সহ ভাঙন মেরামতির জন্য ব্যবহৃত সামগ্রী ঝাউডাঙা এলাকায় নিয়ে যেতে হবে নৌকায়। এ ক্ষেত্রে অন্য জায়গার থেকে কিছুটা খরচ কিছুটা বেশি হবে। সেটি মাথায় রেখেই প্রকল্পের জন্য খরচ ধরবে সেচ দফতর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement