প্রতীকী ছবি।
পুলিশ-প্রশাসনের তরফে গুজব ছড়াতে নিষেধ করে প্রচার চলছে। তবু ছেলেধরা সন্দেহে আটক করে হেনস্থার ঘটনা ঘটছেই জেলার নানা প্রান্তে। শনিবার ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার গোগলা পঞ্চায়েতের বনগ্রাম নিউপিট এলাকায় সেই একই সন্দেহে দুই অপরিচিত মহিলাকে আটকে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। হিরাপুরেও আটক করে রাখা এক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে নিউপিট এলাকায় দুই মহিলাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে এলাকার কয়েকজনের সন্দেহ হয়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই আরও লোকজন জড়ো হন। অভিযোগ, ছেলেধরা সন্দেহে দুই মহিলাকে হেনস্থা করার চেষ্টাও করেন কয়েকজন। থানায় খবর দেওয়া হয়। দ্রুত পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ওই মহিলাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, তাঁদের নাম নুরজাহান বিবি ও জামরাতন বিবি। বাড়ি পাণ্ডবেশ্বরের ডালুরবাঁধে। ভিক্ষা করে দিন কাটে তাঁদের। এ দিন ভিক্ষা করতে এসেছিলেন বনগ্রামের নিউপিট এলাকায়। পুলিশ তাঁদের বাড়িতে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন থানায় আসেন। নুরজাহানের স্বামী আসগর আলি বলেন, ‘‘ছেলেধরা সন্দেহে মারধর, মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সময়ে পুলিশ না পৌঁছলে বড় বিপদ ঘটতে পারত!’’ পুলিশ জানায়, পোস্টার, মাইকে প্রচার, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নানা ভাবে গুজব এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে থানায় খবর দেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে। নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে এলাকায়।
শনিবার সকালে হিরাপুর থানার রাঙাপাড়া এলাকায় এক বৃদ্ধাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে কিছু বাসিন্দা তাঁকে ছেলেধরা সন্দেহে আটকে রাখেন। পুলিশ গিয়ে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হিরাপুর থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ থেকে তিনি কয়েকজনের সঙ্গে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য দিন দুয়েক আগে তিনি আসানসোলে আসেন। কোনও ভাবে দলছুট হয়ে তিনি ভুল বাসে চেপে বসেন। পুলিশ জানায়, বৃদ্ধার ঠিকানা জানার চেষ্টা চলছে।