সোমবার বিক্ষোভের পরে বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ করছেন উপাচার্য। —নিজস্ব চিত্র।
কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটছেই না। দুই সপ্তাহের বেশি সময় বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগ করতে চেয়ে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।
সোমবার পড়ুয়া এবং টিএমসিপি নেতৃত্বের বিক্ষোভের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছিলেন দেবাশিস। মঙ্গলবার আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাননি তিনি। বাড়িতে বসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম করছেন। অন্য দিকে, উপাচার্যকে হেনস্থার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অধ্যাপক এবং শিক্ষাকর্মীরা কালো ব্যাজ পরেছিলেন।
উপাচার্য জানাচ্ছেন, সোমবার যে ভাবে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ করা হয়েছে, শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে, তাতে তিনি আতঙ্কিত। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেই ভয় পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘বাড়িতে বসে বিশ্ববিদ্যালযয়ের সমস্ত কাজ করছি। পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশও করে রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানিয়েছি। পাশাপাশি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছি।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগার থেকে আইনি লড়াইয়ের জন্য খরচ করা হচ্ছে টাকা। এমনই অভিযোগে গত কয়েক দিন ধরে উত্তাল আসানসোলের বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিবাদে টিএমসিপি নেতৃত্ব এবং কর্মীরা নেমেছেন আন্দোলনে। যার ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম।
সোমবার পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠক করার লক্ষ্য নিয়ে এবং কাজকর্ম স্বাভাবিক করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন উপাচার্য। কিন্তু বৈঠকে না-বসে উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে টিএমসিপি। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে পড়ুয়াদের হাতে তিনি আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ করেছেন উপাচার্য। যদিও শারীরিক হেনস্থার কথা অস্বীকার করেছে টিএমসিপি।