পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুরের রাসের প্রতিমা। নিজস্ব চিত্র।
কোথাও অসমের কামরুপ-কামাখ্যা মন্দির, কোথাও হারিয়ে যেতে বসা বাবুই পাখির বাসা, আবার কোথাও রাসলীলা। রাস উৎসবে নানা থিমে সেজেছে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বিভিন্ন মণ্ডপ। উদ্যোক্তাদের দাবি, রবিবার রাত থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছে। আলোয় ভাসছে পথঘাট।
পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার ১১৯টি পুজো কমিটি রাস উৎসব করছে। একশোটি পুজো হচ্ছে শ্রীরামপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। বাকি ১৯টি পুজো ছড়িয়ে রয়েছে জাহান্নগর, সমুদ্রগড় এবং নসরৎপুরে। নবদ্বীপ লাগোয়া শ্রীরামপুরে রাসের সূচনা নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। কেউ মনে করেন বৈষ্ণব এবং শাক্ত মতালম্বীদের মতপার্থক্য থেকেই রাসের শুরু। আবার কেউ মনে করেন নবদ্বীপ থেকেই রাস ছড়িয়ে পড়ে এখানে।
এলাকায় সব থেকে পুরনো পুজো ঘোষপাড়া অন্নপূর্ণা মাতা কমিটির। রবিবার থেকেই প্রতিমা দর্শনের ভিড় জমেছে সেখানে। শনিবার কিশোর স্টাফ ক্লাবের গঙ্গামাতা পুজোর উদ্বোধন করেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। বসেছে একাধিক মেলাও। ১৬ বছরে পা দেওয়া গণেশ জননী পুজো কমিটির মণ্ডপে তুলে ধরা হয়েছে বাবুই পাখির বাসা। আয়োজকদের তরফে শঙ্কর সাহা বলেন, ‘‘এক সময় গ্রামগঞ্জে প্রচুর বাবুই পাখিকে বাসা বাঁধতে দেখা যেত। এখন আর সে ভাবে চোখে পড়ে না। তা নিয়েই এ বারের থিম।’’ প্রায় আট লক্ষ টাকা খরচ করে দক্ষিণ শ্রীরামপুর গঙ্গামাতা পুজো কমিটির থিম ‘স্বপ্নের দেশে পক্ষীরাজ’। পুজো কমিটির সদস্যদের দাবি, উৎসব চলাকালীন প্রায় দু’হাজার মানুষ প্রসাদ দেওয়া হবে।
৫১ বছরে পা দেওয়া দোলগোবিন্দপুর বারোয়ারি পুজো কমিটির থিম, অসমের কামাখ্যা মন্দির। মন্দিরের নানা দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপে। পুজো কমিটির তরফে শঙ্কর ভৌমিক জানান, মণ্ডপে দেবী রণচণ্ডীর পুজো করা হয়। ২৫ বছরে পা দিয়েছে শ্রী শ্রী কমলাকামিনী মাতার পুজো। পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন মহিলারা। ২৯ নভেম্বর হবে শোভাযাত্রা বা আড়ং।
পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক বলেন, ‘‘রাস উৎসবে থিমের পুজো বেড়েই চলেছে। অনেক পুজো কমিটি সারা বছর টাকা জমিয়ে উৎসব করে।’’