নিজস্ব চিত্র।
সরকারের ধার্য করা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে টিকা বিকোচ্ছে বর্ধমানে। কোভিশিল্ডের সরকারি দাম যেখানে ৭৮০ টাকা, সেখানে সাধারণ মানুষের থেকে ৯৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। কোভ্যাক্সিন বিকোচ্ছে ১,৫৫০ টাকায়। সরকারি হাসপাতালে টিকা পাওয়া যাচ্ছে না বলেই বাধ্য হয়ে বেশি দামে নিতে হচ্ছে, এমনটাই জানাচ্ছেন টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষেরা।
কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় বহু মানুষই হন্যে হয়ে টিকার সন্ধান করে বেড়াচ্ছেন। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েই বর্ধমান শহরে টিকা কেন্দ্র খুলেছে কলকাতার মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও একটি ক্লাব, জানাচ্ছেন প্রোগ্রেসিভ অ্যাসোসিয়েশনের নেতা শেখা আলহাজউদ্দিন। তাঁর অভিযোগ, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, নির্দিষ্ট টিকা কেন্দ্রেই টিকা দেওয়া হবে। সেই নির্দেশিকা অমান্য করে টিকা কেন্দ্র খোলা হয়েছে বর্ধমানে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্র দাম বেঁধে দেওয়া সত্ত্বেও বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের থেকে। তাঁর কথায়, ‘‘কর্পোরেট সংস্থা আগেভাগে টিকা পেয়ে যাচ্ছে। অথচ, যারা আগে থেকে টিকা কেন্দ্র চালাচ্ছিল, তাদের আর টিকা সরবরাহ করা হচ্ছে না।’’
টিকা নিতে এসে সৌমী সিনহা নামে এক মহিলা বলেন, ‘‘সরকারি কেন্দ্রে যথেষ্ট টিকা নেই। তাই বাধ্য হয়েই এ ভাবে নিতে হচ্ছে।’’
যে ক্লাবের তরফে ওই টিকা কেন্দ্র খোলা হয়েছে, তার উদ্যোক্তা বাপী বোস বলেন, ‘‘১৮ বছর বেশি বয়সিদের জন্য এই ক্যাম্প। দাম ঠিক করেছে মুকুন্দপুরের ওই হাসপাতাল। তারা কোনও লভ্যাংশ রাখেনি।’’ এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘বেশি দামে টিকা বিক্রি হলে তা অন্যায়। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’