দুই ডিনকে শুভেচ্ছা। নিজস্ব চিত্র
অবশেষে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও কলা বিভাগে ডিন নিয়োগ হল। শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রাল তোফাজ্জল হোসেন আগামী তিন বছরের জন্য বিজ্ঞান বিভাগের পবিত্রকুমার চক্রবর্তী ও কলা বিভাগের রমেন সরের হাতে ডিনের নিয়োগপত্র তুলে দেন। রেজিস্ট্রারের দফতরে হাজির উপাচার্য নিমাই সাহা বলেন, “ডিন নিয়োগ নিয়ে গবেষকদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। সেই আশ্বাস রাখতে পেরেছি।’’ নতুন দুই ডিনের সঙ্গে দেখা করেন গবেষকদের একাংশ। তাঁদের মতে, এ বার গবেষণা-সংক্রান্ত নানা সমস্যা কেটে যাবে।
বিজ্ঞান বিভাগে প্রায় দু’বছর ধরে ডিনের পদ ফাঁকা ছিল। কয়েক মাস ধরে কলা বিভাগেরও ডিন নেই। এই পরিস্থিতিতে গবেষণা সংক্রান্ত নানা কাজ, এমনকি গবেষণা-ভাতাও আটকে থাকছিল বলে অভিযোগ। কয়েক সপ্তাহ আগে কয়েকজন গবেষক ডিন নিয়োগের দাবিতে উপাচার্যের ঘরের সামনে বিক্ষোভও দেখান। তাঁদের মূল অভিযোগ, ডিন না থাকায় গবেষণাপত্রগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই পড়ে রয়েছে। ‘বোর্ড অফ রিসার্চ স্টাডিজ’ (বিআরএস) বৈঠক হচ্ছে না বলে তাঁরাও ভাল সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিজ্ঞান বিভাগে ডিন নিয়োগের জন্য ২০১৭ সালের ২৪ জুন চিঠি পাঠিয়েছিল উচ্চশিক্ষা দফতর। সেখানে তিন জনের একটি ‘সার্চ কমিটি’ গঠন করা হয়। ডিন নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বেশ কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়। উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে বারবার জবাব দেওয়া হয়, সার্চ কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সবিস্তারে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেই চিঠির খোঁজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দফতর, রেজিস্ট্রারের দফতর পায়নি। উপাচার্য নিমাই সাহা গত বছর নভেম্বরে সেই চিঠি নিয়ে এলে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ডিন নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। চার মাসের মাথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক পবিত্রকুমার চক্রবর্তী ডিন পদে নিযুক্ত হলেন। পবিত্রবাবু বলেন, “শিক্ষা সংক্রান্ত কাজের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির দিকে আমার লক্ষ্য থাকবে।’’
নভেম্বর থেকে কলা বিভাগের ডিন পদও ফাঁকা ছিল। জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞাপন দেয়। ফেব্রুয়ারি মাসে সার্চ কমিটি গঠন করে উচ্চ শিক্ষা দফতর। শুক্রবার রাতে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তথা প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রমেন সরের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। রমেনবাবু বলেন, “সকলের সহযোগিতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করতে চাই।’’
রাতে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে নিয়োগপত্র দেওয়ার কারণ কী? ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, ‘‘সোমবার থেকেই নতুন ডিন যাতে কাজ শুরু করতে পারেন, সে জন্য রাতেই নিয়োগপত্র দেওয়া হল।’’