— প্রতীকী চিত্র।
অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশকর্মীর সঙ্গে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম মিলন বারিক ওরফে মিলি এবং জগন্নাথ ঘরামি ওরফে জগা।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৭ অগস্ট পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার আমগড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা পার্থসারথি রায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারে যান টাকা তোলার জন্য। তাঁর আগে এটিএম কাউন্টারে ঢুকেছিলেন দুই যুবক। অপেক্ষা করছিলেন ৬২ বছর বয়সি পার্থসারথি। এক জন বেরিয়ে আসার পর তিনি কাউন্টারে ঢোকেন। প্রাক্তন পুলিশকর্মী দু’বার এটিএমে কার্ড সোয়াইপ করার পরেও টাকা তুলতে ব্যর্থ হন। তখন পাশের যুবক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। প্রাক্তন পুলিশকর্মীর কথায়, ‘‘উনি বললেন, দিন, আমি টাকা তুলে দিচ্ছি।’’ তিনি বিশ্বাস করে কার্ড দেন। পিন নম্বরও বলেন। কিন্তু টাকা ওঠেনি। কার্ডে কোনও সমস্যা হয়েছে ভেবে সেটি পকেটে ভরে নিয়ে বেরিয়ে আসেন পার্থ।
কিন্তু সমস্যার শুরু পর দিন। বৃদ্ধের মোবাইল নিয়ে তাঁর ভাইপো দেখেন ১ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। তিনি বিষয়টি জানাতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে প্রাক্তন পুলিশকর্মীর। তিনি দ্বারস্থ হন পুলিশের। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, কেতুগ্রামে অন্তত তিনটি এমন প্রতারণা চক্র ওই কাজের সঙ্গে জড়িত। ভিন্রাজ্যেও বিছিয়ে রয়েছে প্রতারকদের ফাঁদ। এরা বিভিন্ন এটিএম কাউন্টার ঘুরে ঘুরে এমন প্রতারণা করে বেড়ায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই দুই যুবককে চিহ্নিত করে পুলিশ। তারা যে গাড়ি চেপে এসেছিল, তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ধরে তদন্ত করতে গিয়ে প্রতারকদের মোবাইল নম্বর জোগাড় করেন তদন্তকারীরা। তার পর সেই মোবাইলের অবস্থান জানার চেষ্টা চলে। অবশেষে দু’টি মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে জানা যায়, অভিযুক্তেরা রয়েছে দিঘায়। সোমবার রাতেই দিঘায় হানা দেয় কেতুগ্রাম থানার পুলিশের একটি দল। সেখানকার পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্তকে। মঙ্গলবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে তাদের ১৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।