Amit Shah

অমিতের সভা শুনতে টিভি, জায়ান্ট স্ক্রিন

বর্ধমান শহরে ডিভিসি মোড়ে বিজেপির কার্যালয়ে এই ‘ভার্চুয়াল’ সভায় যোগ দেন দলের নেতা-কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২০ ০৩:৫২
Share:

বাঁ দিকে, কালনায় স্ক্রিনে চোখ। ডান দিকে, গলসিতে প্রতিবাদ সিপিএমের। নিজস্ব চিত্র

তোড়জোড় শুরু হয়েছিল আগের দিন থেকে। কোথাও ‘জায়ান্ট স্ক্রিন’, কোথাও আবার টিভি—দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের ‘ভার্চুয়াল’ সভা শোনার জন্য সারা হয়েছিল প্রস্তুতি। পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রায় পাঁচশো জায়গায় মঙ্গলবার দলের তরফে কর্মী-সমর্থকদের এই সভা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয় বলে দাবি বিজেপির জেলা নেতাদের। তার মধ্যে ৩৮ জায়গায় ‘জায়ান্ট স্ক্রিন’-এর ব্যবস্থা ছিল বলে জানান তাঁরা।

Advertisement

বর্ধমান শহরে ডিভিসি মোড়ে বিজেপির কার্যালয়ে এই ‘ভার্চুয়াল’ সভায় যোগ দেন দলের নেতা-কর্মীরা। দলের জেলা সভাপতি (বর্ধমান সদর) সন্দীপ নন্দী ছাড়া, ছিলেন দলের নেতা প্রবাল রায়, সুনীল গুপ্তেরা। তাঁরা জানান, নির্দিষ্ট দূরত্ববিধি মেনেই কর্মী-সমর্থকেরা এই সভায় যোগ দিয়েছেন। কালনা মহকুমায় কালনা শহর ছাড়াও পারুলিয়া, পূর্বস্থলী, কালেখাঁতলা, সমুদ্রগড়, নসরৎপুর, মেড়তলা, ধাত্রীগ্রাম-সহ নানা জায়গায় দলীয় কার্যালয়ে এই সভা শোনার ব্যবস্থা করা হয়। ভিড় এড়াতে অনেক নেতা-কর্মী বাড়িতেও মোবাইলে সভা শুনেছেন বলে দাবি নেতৃত্বের। পূর্বস্থলীর কাষ্ঠশালী বাজারে বড় পর্দার ব্যবস্থা করা হয়।

বিজেপি নেতা বিজয় ঘোষের বক্তব্য, ‘‘দূরত্ববিধি মেনেই পর্দায় চোখ রেখেছিলেন কর্মীরা।’’ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি ধনঞ্জয় হালদার দাবি করেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছেন।’’

Advertisement

কাটোয়া ও দাঁইহাট শহর ছাড়া, কাটোয়া মহকুমার পাঁচটি ব্লকের নানা জায়গায় মোবাইলের সঙ্গে ছোট লাউডস্পিকার যোগ করে বিজেপি কর্মীদের অনেককে সভা শুনতে দেখা যায় এ দিন। দলের কাটোয়ার নেতা অনিল দত্তের দাবি, মহকুমায় প্রায় ৩০ হাজার কর্মী অমিত শাহের ভাষণ শুনেছেন।

বিজেপির এই ‘ভার্চুয়াল’ সভার প্রতিবাদে সিপিএমের গলসি ২ এরিয়া কমিটি এ দিন বিক্ষোভ দেখায়। এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ এই কর্মসূচি আয়োজিত হয় গলসি বাজার লাগোয়া দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোডে। দলের নেতাদের দাবি, করোনা ও ‘আমপান’-এর জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত। সেখানে বিজেপি কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রচার শুরু করেছে। এ দিনই বর্ধমানে দলের এক কর্মসূচিতে এসে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওঁদের কথার বা প্রতিশ্রুতির কোনও দাম নেই। প্রধানমন্ত্রী থেকে অর্থমন্ত্রী, অনেক বড়-বড় স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সাধারণ মানুষ কিছু পাননি। কৃষিজীবী মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর কথারও কোনও মূল্য নেই।’’

তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত দাবি করেন, ‘‘বিজেপি নেতাদের পুরোটাই নাটক। মানুষ ওঁদের কথা আর বিশ্বাস করছেন না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement