বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলি সম্পর্কে পর্যটকদের কাছে আগ্রহ তৈরি করতে এ বছর রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিটি জেলায় পর্যটন উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। বর্ধমান জেলায় এই উৎসবের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে কালনা মহকুমাকে। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে দু’দিনের উৎসব। তারই প্রস্তুতি কী ভাবে করা হবে, তা ঠিক করতে শনিবার বৈঠক হল কালনার মহকুমাশাসকের দফতরে।
এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ বৈঠক শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া, বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ প্রমুখ। ছিলেন বিভিন্ন ব্লকের বিডিও, দমকল, বিদ্যুৎ, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিকেরাও। উৎসবকে আকর্ষণীয় করে তুলতে জেলা জুড়ে প্রচার শুরুর বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দু’দিনের এই উৎসবে জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলি সম্পর্কে মানুষকে জানাতে আলাদা আলাদা স্টল করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। জোর দেওয়া হবে কালনা মহকুমার উপরে। প্রতিটি ব্লকের আলাদা স্টল থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। মন্ত্রী স্বপনবাবু জানান, জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখতে সারা বছর বিদেশী পর্যটকেরা ভিড় জমান। কিন্তু জেলার বেশির ভাগ মানুষের সেগুলি সম্পর্কে জানা নেই। ভোজন রসিকদের জন্য মেলা প্রাঙ্গনেই ফুড পার্ক করার ব্যাপারেও এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে জায়গা পাবে শক্তিগড়ের ল্যাংচা, সদরের সীতাভোগ, কাটোয়ার পরানের পান্তুয়া, কালনার নোরা পান্তুয়া। উৎসব উপলক্ষে কালনা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখা, বিভিন্ন জায়গা আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা, মহকুমার কবি-সাহিত্যিকদের নামে তোরণ তৈরির ব্যাপারেও আলোচনা হয় এ দিন। শহর সাজানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কালনা পুরসভাকে।
উৎসবের দিনগুলিতে লোকশিল্পীদের দিয়ে অনুষ্ঠান করানোর বিষয়ে জেলা তথ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন স্বপনবাবু। প্রতিদিন কলকাতা থেকে এক জন নামী শিল্পীকে নিয়ে আসারও চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, জেলা জুড়ে হোডিং, ব্যানারের পাশাপাশি নৌকার মাধ্যমেও উৎসব নিয়ে প্রচার চালানো হবে। উৎসব পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গড়া হবে বলেও জানান তিনি।