কাটোয়া পুর এলাকায় ১৯ থেকে ৩১ জুলাই চলবে লকডাউন। ছবি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
গত কয়েকদিনে কাটোয়া পুর এলাকায় বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণ ঠেকাতে কাটোয়া পুর এলাকায় ফের লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত নিল স্থানীয় প্রশাসন। ১৯ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত হবে লকডাউন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করে পুর প্রশাসন ও মহকুমা প্রশাসন। তারপরই লকডাউনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সকাল দশটার পর রাস্তায় কোনও বাজার বসবে না। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বিকাল পাঁচটার পর সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখতে হবে। মাছ, মাংস, ফল ও সবজি বাজার সকাল থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মুদিখানার দোকান সকাল আটটা থেকে বিকাল পাঁচটা অবধি খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এই লকডাউন কালে প্রতিদিন দোকান খোলা যাবে না। বেঁধে দেওয়া সময়ে এক দিন অন্তর দোকান খুলতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। বিকাল পাঁচটার পর রাস্তাঘাটে জনগণের চলা ফেরায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক করেছে প্রশাসন। মাস্ক ছাড়া কাউকে দেখা গেল কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
শুক্রবার কিছুটা তড়িঘড়ি করেই ডাকা হয় বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, মহকুমা শাসক প্রশান্তরাজ শুক্লা, পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীন) ও ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা।
প্রশাসনের বক্তব্য, আনলকের সময়কালে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে। অনেকেই দোকান-বাজার, রাস্তাঘাটে অযথা ভিড় করছেন। দূরত্ববিধিও মানছেন না। সে জন্য কাটোয়ার মানুষের স্বার্থে ফের জারি করা হল লকডাউন। এ ব্যাপারে আনন্দবাজার ডিজিটালকে কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘আনলক পর্বে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট সচেতনতার অভাব দেখা গিয়েছে। প্রচার চালিয়েও বোঝানো যায়নি সকলকে। তাই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্যই ফের জারি হল বিধি-নিষেধ।’’ তাঁর কথায়, কাটোর মানুষের ভাল চিন্তা করেই প্রশাসনের এই পদক্ষেপ। আনন্দবাজারের মাধ্যমে জনগণকে লকডাউন মেনে চলার আবেদনও করেছেন তিনি।
বিগত কয়েকদিনে কাটোয়া পুর এলাকায় বাড়ছে সংক্রমণ। ১২ থেকে ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন করে ছ’জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে কাটোয়া পুর এলাকায়।
আরও পড়ুন: সাফাইকর্মী আক্রান্ত, আতঙ্ক কাটোয়া পুরসভায়
আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত প্রায় ৩৫ হাজার, দেশে মৃত্যু ছাড়াল ২৫ হাজার