বর্ধমান মেডিক্যাল থেকে কাটোয়া হাসপাতাল যেখানে রক্তাল্পতায় ভুগছে, সেখানে আগে থেকে রক্ত সঞ্চয় করে ব্যতিক্রম কালনা মহকুমা হাসপাতাল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রায় আড়াইশো ব্যাগ রক্ত মজুত করে রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেগুলি হয় নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করা হচ্ছে, নাহলে অন্য হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে পাঠানো হচ্ছে।
সারা বছর ব্লাড ব্যাঙ্কে যে রক্ত মেলে তার একটা বড় অংশই আসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রক্তদান শিবির থেকে। কিন্তু ভোটের মুখে সবটাই বন্ধ থাকে। ফলে রক্তে সঙ্কট দেখা দেয়। এ বার আগে থেকেই সমস্যা মেটাতে বদ্ধপরিকর হন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, আগেও এই পরিস্থিতিতে রক্তের জোগান দিতে ভুগতে হয়েছে। এ বার তাই আড়াই মাস ধরে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার করা শিবির থেকে রক্ত নেওয়া হয়েছে। রক্ত পরীক্ষার জন্য কিটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে আগে থেকে। রক্ত যেহেতু ৩৫ দিনের বেশি সঞ্চয় করা যায় না, ফলে সেই হিসেব করে ব্যবহার করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, কালনা শহরের বিভিন্ন নার্সিংহোম তো বটেই, সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্ক, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কাটোয়া এবং কৃষ্ণনগরের সরকারি হাসপাতালেও রোগীদের সঙ্কট মেটাতে রক্ত পাঠানো হচ্ছে। সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই বলেন, ‘‘এ বার গরমে রক্তের অভাব হবে না। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনে আরও রক্ত পাঠানো হবে।’’