দুর্গাপুরের সাগরভাঙা থেকে শুভেন্দু অনগামীদের মেদিনীপুর যাত্রা— নিজস্ব চিত্র।
জিতেন্দ্রনাথ তিওয়ারি না গেলেও মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভাতে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর থেকে কয়েকশো তৃণমূল নেতা-কর্মী হাজির হচ্ছেন। তাঁদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর ডাকেই তাঁরা বিজেপি-র সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। জেলার আরও কয়েকটি এলাকা থেকে ‘দাদার অনুগামী’রা শনিবার মেদিনীপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
জেলা তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অমিতের সভাতে আসানসোলের পদত্যাগী পুরপ্রশাসক তথা পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্রনাথের বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো বুধবার রাতে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করার পরে তিনি আসানসোলের পুর প্রশাসক-সহ তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফার কথাও ঘোষণা করেছিলেন।
কিন্তু বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায় জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে ‘তোপ’ দাগতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। জিতেন্দ্র নিজে শুক্রবার ‘কৃতকর্মের’ জন্য দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে তৃণমূলে থাকার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠেরাও আপাতত বিজেপি-তে যাচ্ছেন না বলে ওই সূত্রের খবর।
তবে মেদিনীপুরে অমিতের মঞ্চে কোনও নেতা যোগদান করুন বা না-করুন তাতে দুর্গাপুরের সাগরভাঙ্গা এলাকার ওই বিদ্রোহী তৃণমূল কর্মীদের যায় আসে না বলে তাঁরা জানাচ্ছেন। তাঁদের একজন শনিবার সকালে বলেন, ‘‘আমাদের দাদা শুভেন্দু অধিকারীর ডাকে আমরা মেদিনীপুরে অমিতজির সভায় যাচ্ছি।’’
সাগরভাঙ্গা এলাকায় দেখা গেল বেশ কয়েকটি বাসে ওই যুবকেরা মেদিনীপুরের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন। প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই পশ্চিম বর্ধমান জেলা জুড়ে শুভেন্দু অনুগামীদের তৎপরতা বাড়ছিল। গত ১৫ ডিসেম্বর শুভেন্দুর জন্মদিনে তাঁর অনুগামীরা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন।