এলাকায়-এলাকায় সভা হচ্ছে। সমাবেশে যাতে বেশি সংখ্যায় কর্মী-সমর্থক হাজির থাকেন, সেই বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তবে ২১ জুলাই কলকাতায় সমাবেশে লোক নিয়ে যাওয়ার জন্য দলের তরফে বেশি বাস ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না, দাবি পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। দলের নেতারা দাবি করছেন, কর্মীরা ট্রেনেই কলকাতা যেতে বেশি স্বচ্ছন্দ। তাই অধিকাংশই যাবে ট্রেনে। তবে রুটে বাস চলাচলে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে কিছু বাস নেওয়া হবে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতারা।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বার আসানসোল থেকে প্রায় ২৫ হাজার কর্মী-সমর্থক ২১ জুলাইয়ের সভায় গিয়েছিলেন। এ বার তার চেয়েও বেশি লোক নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ব্লক স্তরে দল ও গণ সংগঠনগুলি আলাদা ভাবে সভা করছে। জেলা থেকে এ বার ছাত্র-যুব কর্মী বেশি সংখ্যায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানান জেলা তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কর্মী-সমর্থকদের সভায় যাওয়ার জন্য কোনও ভাবে চাপ দেওয়া হবে না। এটা তাঁদের নৈতিক দায়িত্ব।’’ এ বার ২১ জুলাই রবিবার হওয়ায় কর্মীদের যোগদান অনেক স্বতঃস্ফূর্ত হবে, মনে করছেন নেতারা।
দুর্গাপুরে ৬ জুলাই সিটি সেন্টারের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে প্রস্তুতি সভায় কর্মীদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন তৃণমূল নেতারা। তার পর থেকে দলের কর্মীরা ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের লিফলেট বিলি শুরু করেছেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। ১৪ ও ১৫ জুলাই শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ডে ২১ জুলাইয়ের সমর্থনে পদযাত্রা হয়েছে। ১৯ জুলাই বাকি ওয়ার্ডগুলিতে পদযাত্রা হবে।
দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, প্রতি ওয়ার্ড থেকে দু’টি করে বাস থাকবে। এ ছাড়া আরও ২০-২৫টি করে গাড়ি। প্রতি ওয়ার্ড থেকে শ’তিনেক নেতা-কর্মী যাবেন বলে ঠিক হয়েছে। সব মিলিয়ে দুর্গাপুর থেকে ১৫ হাজার মানুষ সভায় যোগ দেবেন বলে আশা করছেন নেতারা। দুর্গাপুরের যুব তৃণমূল নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বাস মালিক অ্যাসেসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা করে বাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। ট্রেনেও অনেকে যাবেন। শুধু দুর্গাপুর নয়, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বীরভূমের অনেক কর্মী-সমর্থকও ট্রেন ধরবেন দুর্গাপুর থেকে। সে জন্য দলের তরফে ২০ ও ২১ জুলাই স্টেশন চত্বরে বিশেষ সহায়তা শিবিরের আয়োজন করা হবে। দরকার হলে যানবাহনের ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান দলের নেতারা।
তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান ভি শিবদাসনও জানান, আসানসোলের কর্মী-সমর্থকেরা কলকাতায় যাওয়ার জন্য ট্রেনই বেশি পছন্দ করেন। আগের রাতেই অনেকে ট্রেনে কলকাতা পৌঁছবেন। তাঁর দাবি, কোনও মিনিবাস ভাড়া করা হচ্ছে না। রুটের বাস না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মহিলা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছু লাক্সারি বাস ভাড়া করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া কিছু জায়গায় কর্মীরা নিজেরাই ছোট গাড়ি ভাড়া করে যাবেন, জানান শিবদাসন। যাত্রী পরিবহণ কোনও ভাবে বিঘ্নিত করা হবে না, আশ্বাস তাঁর।