তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়া, উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ করেছিলেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। অভিযোগ, প্রথমে এফআইআর নিতে চায়নি পুলিশ। পরে তা নিলেও পুলিশেরই ‘গাফিলতি’র জেরে অভিযুক্ত জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরে হুমকি দিচ্ছেন বলে দাবি বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের ওই মহিলার। ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি নিয়ে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য উজ্জ্বল ঘোষ অবশ্য দাবি করেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে।’’ তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ মানতে চায়নি পুলিশও। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এসিপি (পূর্ব) বিমল মণ্ডল বলেন, ‘‘পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি, এ কথা ভুল। অভিযুক্তকে ধরা হয়েছিল। শ্লীলতাহানি ছাড়াও আরও কিছু ধারায় মামলা করা হয়। বিচারকের নির্দেশে সাত দিন জেল-হাজতের পরে থানায় হাজিরার শর্তে তিনি জামিন পান।’’ মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায় অবশ্য জানান, পুলিশকে হুমকির অভিযোগের তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
পাণ্ডবেশ্বরের নবগ্রামে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কাজ করেন আদিবাসী ওই মহিলা। কাজের সুবাদে পঞ্চায়েত সদস্য উজ্জ্বলবাবুর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় বছর চারেক আগে। তার পর থেকেই তিনি নিয়মিত এসএমএসে কুপ্রস্তাব, রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করা শুরু করেন। অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল নেতাদের বিষয়টি জানানোর পরে দিন কয়েক উৎপাত বন্ধ ছিল। কিন্তু কয়েকমাস আগে অঙ্গনওয়াড়িতে এসে আমাকে একটি ঘরে আটকে রাখেন উজ্জ্বলবাবু।’’
মহিলার দাবি, ৯ জানুয়ারি তিনি পাণ্ডবেশ্বর থানায় অভিযোগ জানান। কিন্তু পুলিশ তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মেটানোর পরামর্শ দেয়। তবে তিনি অনড় থাকায় শেষে অভিযোগ নিতে বাধ্য হয়। মহিলার অভিযোগ, অভিযুক্ত ‘‘আমাকে রাস্তাঘাটে গালিগালাজ করছে।’’ মহিলার স্বামীর দাবি, পুলিশের উপরে ভরসা রাখতে না পেরে তাঁর স্ত্রী গত ২৯ মার্চ মহিলা কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছেন।