Jamuria TMC

মাফিয়া-রাজ নিয়ে সরব তৃণমূল বিধায়ক

ঘটনা হল, কয়লার অবৈধ কারবার ও সিন্ডিকেট নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলায় এসে সরব হতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:০৪
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দলেরই নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে কয়লার অবৈধ কারবারকে কেন্দ্র করে ‘সিন্ডিকেট ও মাফিয়া-রাজের’ অভিযোগ তুললেন জামুড়িয়ার তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিংহ। পাশাপাশি, তাঁর বিধানসভা ছাড়া অন্য বিধানসভা এলাকায় বালির অবৈধ কারবার চলছে বলেও অভিযোগ করলেন হরেরাম। বিধায়কের এমন মন্তব্যের পরেই, শুরু হয়েছে বিতর্ক।

Advertisement

রবিবার জামুড়িয়ায় একটি মিছিলের পরে পথসভা করে তৃণমূল। থানা মোড়ের ওই সভা থেকেই হরেরাম অভিযোগ করেন, “কিছু নেতা গোলমাল করছেন। ওঁদের দল থেকে বার করতে হবে। জামুড়িয়ায় যাঁরা সিন্ডিকেট-রাজ চালাচ্ছেন, তাঁরা বিজেপি বা তৃণমূল, যে দলেরই হোক, রেয়াত করা যাবে না।” তাঁর সংযোজন: “কিছু দিন কয়লা চুরি বন্ধ হয়েছিল। আবার কিছু ধান্দাবাজ লোক মাফিয়া-রাজ চালাচ্ছে।” পরক্ষণেই হরেরাম বালির কারবার নিয়েও মন্তব্য করেন। বলেন, “জামুড়িয়া বিধানসভায় নদ থেকে কিছু গরিব লোক সামান্য বালি নিয়ে বিক্রি করছিলেন। প্রশাসন সেটা বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ, অন্য বিধানসভায় অবৈধ বালির রমরমা। আমি পুলিশকে বলতে চাই, অবৈধ কারবার যদি চালাতে হয়, তবে তাতে সব গরিব মানুষকে শামিল করতে হবে।”

ঘটনা হল, কয়লার অবৈধ কারবার ও সিন্ডিকেট নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলায় এসে সরব হতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। এই আবহে, হরেরামের মন্তব্য সামনে আসার পরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক তথা বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের বক্তব্য, “এত দিন আমরা বলছিলাম যে, অবৈধ বালি ও কয়লার সিন্ডিকেট চালাচ্ছে তৃণমূল। এখন এটা ওঁদের বিধায়কই
সে কথা বলছেন। তবে, উনি নিজে বখরা পাচ্ছেন না বলেই কি এমন মন্তব্য!” সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায় আবার প্রশাসনের অংশ হওয়া
সত্ত্বেও হরেরাম নিজে কেন অবৈধ কারবার বন্ধ করতে পারছেন না, সে প্রশ্ন তুলেছেন।

Advertisement

বিরোধীদের অভিযোগে আমল দেননি তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তাঁর সংযোজন, “হরেরাম কী বলেছেন, ওঁর সঙ্গে কথা বলে জেনে নেব। তার আগে মন্তব্য করব না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement