WB Panchayat Election 2023

দলে ‘গুরুত্ব’ নেই, সব বিলিয়ে দিয়ে সক্রিয় রাজনীতি থেকে ‘সন্ন্যাস’ বর্ধমানের তৃণমূল নেতার!

বর্ধমান ১ ব্লকের ঝিঙুটির বাসিন্দা অভিজিৎ সোম সাংবাদিক সম্মেলন করে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তের কথা জানান। তার সঙ্গী হয়েছেন প্রায় ৪০ জন তৃণমূল কর্মী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৩ ০৬:৫১
Share:

খুলে নেওয়া হচ্ছে কার্যালয়ের বোর্ড। বর্ধমানের ঝিঙ্গুটিতে। ছবি: উদিত সিংহ।

টিকিট না পেয়ে অন্য দলে নাম লিখিয়েছেন অনেকে। দলের সঙ্গে মান-অভিমান, অশান্তির পালা চলেছে। তবে কার্যালয় ‘বন্ধ’ করে জিনিসপত্র বিলিয়ে দিয়ে প্রায় ‘সন্ন্যাস’ নেওয়ার পথ মাড়াতে দেখা যায়নি তেমন কাউকে।

Advertisement

মঙ্গলবার জেলা তৃণমূলের সম্পাদক, বর্ধমান ১ ব্লকের ঝিঙুটির বাসিন্দা অভিজিৎ সোম সাংবাদিক সম্মেলন করে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তের কথা জানান। তার সঙ্গী হয়েছেন বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্য রমেশ পাল-সহ প্রায় ৪০ জন তৃণমূল কর্মী। ২০২৫ সাল পর্যন্ত লিজ় নেওয়া দলীয় কার্যালয়টিও মালিককে ফিরিয়ে দেন তাঁরা। অভিজিতের দাবি, ‘‘২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে বিজেপি জিতেছিল। কিন্তু আমাদের বুথে তৃণমূল ১৯২ ভোটে জেতে। তারপরেও বুথ সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু তার পরেও দল মর্যাদা দেয়নি। ব্লক নেতৃত্ব আমাদের গুরুত্ব দেন না। জেলা সভাপতিকে জানিয়েছি।’’ যদিও ওই ব্লক সভাপতি তথা বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান কাকলি গুপ্ত তায়ের দাবি, ‘‘আমার সঙ্গে ওঁরা কোনও আলোচনা করেননি। সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছি। দল অভিজিৎ সোমকে জেলা সম্পাদক করেছিল। তাহলে গুরুত্ব না দেওয়ার ব্যাপার কোথায়?’’

এ দিন দলীয় কার্যালয়ের চাবি ফেরানোর পাশাপাশি কার্যালয়ে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র দান করে দেওয়া হয়। একটি টেবিল ও ১০টি চেয়ার দেওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে। ঝিঙ্গুটি বিদ্যাসাগর পাঠাগার এবং ঝিঙ্গুটি সুকান্ত স্মৃতি পাঠাগারকে আলমারি, টিভি, বিদ্যুতের সামগ্রী, বোর্ড, ফ্লোর ম্যাট ইত্যাদি দেওয়া হয়। বিক্ষুব্ধদের দাবি, কোনও দলে নয়, সাধারণ ভোটার হয়েই থাকতে চান তাঁরা। অভিজিতের অভিযোগ, নির্বাচনে তাঁদের কী কাজ, তা নির্দিষ্ট ভাবে জানাননি ব্লক নেতৃত্ব। উল্টে যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরা কটূক্তি করছেন। বিদায়ী সদস্য রমেশকে প্রার্থী না করা নিয়েও ক্ষোভ জানান তিনি।

Advertisement

বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তায়ের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূলের দ্বন্দ্বের কথা সবাই জানে। এই ধরণের ঘটনা ঘটাই স্বাভাবিক। দলটাই এ ভাবে এক দিন উঠে যাবে।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেনও বলেন, ‘‘এটা শেষের শুরু। এ ভাবেই তৃণমূলের সব পার্টি অফিস এক দিন বন্ধ হয়ে যাবে।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোনও চিঠি হাতে পাইনি। পেলে এই নিয়ে মন্তব্য করব। তবে, দলে এটা কাম্য নয়। কী হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement