হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মমতা বারুই। —নিজস্ব চিত্র।
শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলে আবার উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের জঙ্গলমহলে। বাড়ির সামনেই আক্রান্ত হলেন পঞ্চায়েত সমিতির এক সভাপতি। মমতা বারুই নামে ওই নেত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জখম মমতার বাড়ি আউশগ্রাম-২ পঞ্চায়েত এলাকার মৌখিরা গ্রামে। পরিবারের দাবি, শনিবার সন্ধ্যায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মমতা বাড়ির সামনে কয়েক জন পরিচিতের সঙ্গে গল্প করছিলেন। হঠাৎই ওই এলাকারই সাত-আট জন তাঁকে ঘিরে ধরেন এবং বিনা প্ররোচনায় মারধর করেন। নেত্রীর পরনের পোশাক পর্যন্ত ছিঁড়ে দেওয়া হয়। মমতার স্বামী আনন্দ বারুই জানান, তিনি এবং ছেলে তাঁদের দোকানে ছিলেন। স্ত্রীকে মারধর করা হচ্ছে শুনে বাড়ির দিকে ছুটে যান তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মারধরের পাশাপাশি জাতপাত তুলে গালাগালি করা হয়।’’ এই পুরো ঘটনার নেপথ্যে দলেরই একাংশ রয়েছে বলে দাবি করেছে আক্রান্তের পরিবার।
মমতাকে প্রথমে স্থানীয় ইলামবাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে বর্ধমান জাতীয় সড়কের পাশে একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। জখম তৃণমূল নেত্রীর স্বামী বলেন, ‘‘শনিবার দুয়ারে সরকার শিবির থেকে আমরা একসঙ্গে বাড়িতে ফিরি। তার পর আমি দোকানে চলে যাই। গ্রামের বাজারে একটি মাংসের দোকান আছে আমার। দোকানে বসে হামলার কথা শুনে বাড়ি ছুটে গিয়েছি।’’ গন্ডগোল প্রসঙ্গে আউশগ্রাম-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শেখ আব্দুল লালন বলেন, ‘‘যাঁরা লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূলকে হারানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন, তাঁরাই এখন তৃণমূলের পতাকা ধরে দাবি করছেন, ‘আমরা তৃণমূল’। আসলে এঁরা দুষ্কৃতী, খুনি। আমি গোটা বিষয়টি জেলার শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। পুলিশেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, হামলার ঘটনায় কার্তিক মেটে নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।