TMC Inner Conflict

পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ঘিরে গন্ডগোল, বর্ধমানে প্রকাশ্যে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল

বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া চলাকালীন শম্পা ও তাঁর অনুগামী ১১ জন সদস্য সভাকক্ষ থেকে বেরিয়েও যান। ওই ১১ জন সদস্য পদত্যাগ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিধায়ক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

রায়না শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৩ ০২:৩৬
Share:

তখনও চলছে বোর্ডগঠন প্রক্রিয়া। —নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ঘিরেও গন্ডগোল পূর্ব বর্ধমানে রায়নায়। এই ঘটনার জেরে ফের প্রকাশ্যে চলে এল শাসক তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। দলের তরফে পাঠানো নামের পাশাপাশি অন্য নামও সভাপতি পদে প্রস্তাব হওয়ায় বোর্ড গঠনে অংশ নিলেন না ১১ জন সদস্য! শুক্রবার রায়না-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তথা নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বামদেব মণ্ডল-সহ তাঁর অনুগামী বলে পরিচিত মোট ১৩ জন সদস্য বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। তাঁরা সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত করেন। এর পরেই ব্লক সভাপতি বামদেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রায়নার বিধায়ক শম্পা ধাড়া। বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া চলাকালীন শম্পা ও তাঁর অনুগামী ১১ জন সদস্য সভাকক্ষ থেকে বেরিয়েও যান। ওই ১১ জন সদস্য পদত্যাগ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিধায়ক।

Advertisement

শম্পার অভিযোগ, দলীয় নির্দেশ না মেনেই ব্লক সভাপতি দলের পাঠানো নামের পাশাপাশি অন্য এক জনের নামও সভাপতি পদে প্রস্তাব করেন। তাঁর কথায়, “বৃহস্পতিবার রায়না গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচনে দলের পাঠানো নামের পক্ষে ছিলেন না ব্লক সভাপতি। এমনকি, প্রাক্তন প্রধানকে মারধরও করেছেন তাঁর অনুগামীরা।” ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত সমিতির দুই সদস্যকে অপহরণের অভিযোগও তোলেন শম্পা।

পাল্টা ব্লক তৃণমূল সভাপতি বামদেব বলেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে বিধায়কের পক্ষ থেকে। বোর্ড গঠনের সময় দ্বিতীয় নাম প্রস্তাব হতেই আমি নিজেই তার বিরোধিতা করি। কিন্তু আমার কথা না শুনেই কয়েক জন সদস্য সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। বিধায়ক দলের কোনও নিয়মই মানেন না। পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব না দিয়ে তিনি সিপিএমের সঙ্গে আঁতাঁত করে চলেছেন। তাঁর দৌলতেই সিপিএম পলাশন গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে।”

Advertisement

প্রসঙ্গত, রায়না-১ পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন ২৪। সব ক’টি আসনেই জয়ী হয় তৃণমূল। এর পরেই দেখা যায়, বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে ১৩ ও বিধায়কের নেতৃত্বে ১১ জন সদস্য আড়াআড়ি ভাবে ভাগ হয়ে যান। তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement