তৃণমূলের গোষ্ঠী-সংঘর্ষে ভাঙচুর, আগুন দুর্গাপুরে

স্থানীয় নানা সূত্রের দাবি, ডিএসপি কারখানার শ্রমিক ইউনিয়নের কর্তৃত্ব নিয়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা দীর্ঘদিনের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৯ ০১:২৮
Share:

পুড়ছে মোটরবাইক। রবিবার রাতে আমরাই এলাকায়। —নিজস্ব চিত্র।

ফের তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের গোষ্ঠী-সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল দুর্গাপুর। রবিবার রাতে আমরাইয়ে মোটরবাইকে আগুন, দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, মারধরের অভিযোগ ওঠে। পুলিশের বড় বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

স্থানীয় নানা সূত্রের দাবি, ডিএসপি কারখানার শ্রমিক ইউনিয়নের কর্তৃত্ব নিয়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা দীর্ঘদিনের। শুক্রবার কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে দু’জন শ্রমিকের কাছ থেকে ‘গেট পাস’ কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে অপর গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা নিয়ে আমরাইয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছিল। এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। আহত হন চার জন। তার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার রাতে ফের ওই এলাকায় গোলমাল বাধে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আরতি গ্রাম থেকে কয়েকজন যুবক আমরাইয়ে আসে। তাদের সঙ্গে বচসা হয় এলাকার বাসিন্দা শেখ আখতারের। তখন ওই যুবকেরা চলে গেলেও কিছুক্ষণ পরে আবার প্রায় ১৫টি মোটরবাইকে আরও লোকজন নিয়ে ফিরে আসে তারা। অভিযোগ, শেখ আখতার-সহ পাঁচ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তৃণমূলের একটি কার্যালয়ে ভাঙচুরও চালানো হয়। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, এই কার্যালয়টি রয়েছে আইএনটিটিইউসি-র প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামী হিসেবে পরিচিত শেখ সাহাবুদ্দিনের দখলে। দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই আরতি গ্রামের ওই যুবকেরা পালিয়ে যায় বলে বাসিন্দারা জানান।

Advertisement

তবে তার পরেও গোলমাল থামেনি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মারধর ও দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে ওই এলাকায় অপর গোষ্ঠীর কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়। একটি মোটরবাইকে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। এলাকাবাসীর একাংশ জানান, এই কার্যালয়টি রয়েছে আইএনটিটিইউসি-র বর্তমান জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের অনুগামী শেখ মনিরুলের হাতে। গোলমাল বাড়তে থাকায় এলাকায় কমব্যাট ফোর্স নামানো হয়।

প্রভাতবাবু বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’’ বিশ্বনাথবাবুর সঙ্গে বারবার চেষ্টা করেও ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। শেখ সাহাবুদ্দিনের অভিযোগ, ‘‘সংগঠন করার জন্য আমাদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।’’ পক্ষান্তরে, শেখ মনিরুল দাবি করেন, ‘‘আরতি গ্রামের লোকজনের সঙ্গে ঝামেলা বেধেছিল কয়েকজনের। কিন্তু শ্রমিক সংগঠনের অন্য গোষ্ঠী আমাদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে।’’

পুলিশ জানায়, এলাকায় টহল দেওয়া হচ্ছে। কোনও পক্ষ কোনও লিখিত অভিযোগ করেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement