রেললাইনের কাজে বিবাদ। নিজস্ব চিত্র
সেনা ছাউনির নির্মীয়মাণ রেল ইয়ার্ডের জন্য সামগ্রী সরবরাহ নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরি হল বুদবুদে। সোমবার সন্ধ্যায় দু’পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতিও বাধে। দু’টি গোষ্ঠীর লোকজনই নিজেদের তৃণমূলের কর্মী বলে দাবি করেছেন। দলের পতাকা নিয়ে মিছিলও করেছেন তাঁরা। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন এক পক্ষ।
বুদবুদের রঘুনাথপুর-অনুরাগপুর মোড়ে সেনাছাউনির রেল ইয়ার্ড তৈরির বরাত পেয়েছে কলকাতার এক ঠিকাদার সংস্থা। সেই সংস্থাকে সামগ্রী সরবরাহের জন্য ওই দুই গ্রামের যুবকেরা একটি সিন্ডিকেট গড়েছেন। দুই গ্রামের প্রায় চারশো যুবক রয়েছেন তাতে। এখনও কাজ সে ভাবে শুরু হয়নি। শুধু ঠিকাদার সংস্থার অফিসঘর তৈরি হয়েছে। তার জন্য সামগ্রী সরবরাহ করেছেন ওই যুবকেরাই। সিন্ডিকেটের তরফে সাদেক আলি জানান, এখনও পর্যন্ত সাত লক্ষ টাকার সামগ্রী দিয়েছেন তাঁরা।
কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে তার পরে। সিন্ডিকেটের একাংশের অভিযোগ, তাদের চার সদস্য ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে আলাদা ভাবে পুরনো রেললাইন তুলে ফেলার কাজের বরাত নিয়ে নিয়েছে। তা জানতে পেরে সিন্ডিকেটের বাকি সদস্যেরা বারণ করলেও ওই চার জন শোনেননি বলে অভিযোগ। সে নিয়ে শনিবার দু’পক্ষের মধ্যে একপ্রস্ত বচসা হয়। সাদেক জানান, বিষয়টি তাঁরা তৃণমূলের আউশগ্রাম ২ ব্লক সভাপতি রামকৃষ্ণ ঘোষকে জানান।
সোমবার সকালে রঘুনাথপুরে দলের কার্যালয়ে দু’পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ব্লক সভাপতি। সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে, হাতাহাতিও হয়। এর পরে দুপুরে দলের পতাকা নিয়ে একটি মিছিল করেন সিন্ডিকেটের সদস্যেরা। নুরুল আজহার, শেখ রফিক, শেখ নাসিররা অভিযোগ করেন, ব্লক সভাপতির প্ররোচনায় দু’টি গ্রামকে অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন কয়েকজন। তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রামকৃষ্ণবাবু বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে আমার বা দলের কোনও যোগ নেই।’’ ওই ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
সন্ধ্যায় দু’পক্ষকে বৈঠক করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, যারা পুরো কাজ করার দায়িত্ব পেয়েছে তারাই রেললাইনের কাজও করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আলাদা ভাবে কেউ কাজ করবে না। দু’পক্ষ তা মেনে নিয়েছে বলে পুলিশের দাবি।