প্রতীকী ছবি।
জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন তৃণমূল বিধায়কেরা। বাড়ি বাড়ি ঘোরার ফাঁকে কেন্দ্র সরকারের ‘উজ্জ্বলা’ প্রকল্পের দুর্নীতি খোঁজারও নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা নেতৃত্ব।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে বর্ধমান শহরের কালীবাজারে দলের জেলা দফতরে একটি বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দুর্নীতি হয়েছে। কারা ওই প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধা পেয়েছেন তার তালিকা প্রশাসনের কাছে নেই। বুথস্তর পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই তালিকা তৈরি করতে হবে। ওই প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোন কোন বিজেপি নেতা দুর্নীতি করেছে সেটাও খুঁজে বের করতে হবে।’’
২১ জুলাইয়ের মঞ্চে উজ্জ্বলা প্রকল্প নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ব্ল্যাক মানি’ নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার কথা বলেছিলেন। সেই নির্দেশকে মান্যতা দিতেই এই অভিযান, দাবি দলের একাংশের। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এলাকার উজ্জ্বলা প্রকল্পের প্রাপকদের তালিকা নেওয়া হবে। ওই উপভোক্তারা কী ভাবে সুবিধা পেয়েছেন, নাম নথিভুক্ত হওয়ার পদ্ধতি নিয়েও তথ্য জোগাড় করা হবে। পাশাপাশি ওই সব উপভোক্তাদের বাড়ি লাগোয়া এলাকায় কোন বিজেপি নেতা-কর্মীর প্রভাব রয়েছে, তালিকা তৈরিতে তাঁর কোনও ভূমিকা আছে কি না, সে খোঁজও নেওয়া হবে। নথি জোগাড়ের পরে তৃণমূলের বুথ স্তরের উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেগুলি মিলিয়ে দেখে নেবেন।
লোকসভা ভোটে কাটোয়া, গলসির মতো জেলার বেশ কিছু জায়গায় পিছিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। তার পরেই ‘কাটমানি’ নিয়ে একের পর নেতার নামে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ‘চাপে’ পড়েছেন দলীয় নেতৃত্ব। এ অবস্থায় ‘দিদিকে বলো’র মাধ্যেমে জনসংযোগের সঙ্গে বিজেপির দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনতে পারলে মানুষের আস্থা ফিরে আসবে মনে করছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
যদিও বিজেপির জেলা সাংগঠনিক সভাপতি সন্দীপ নন্দীর দাব, “দুর্নীতি খুঁজতে যাঁরা বাড়ি বাড়ি যাবেন, তাঁদের নামেই তো যত অভিযোগ মানুষের!”