দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
দু’টি গাড়িতে পরিবারের আট জন মিলে বিহার থেকে কলকাতা ফিরছিলেন। মাঝরাতে প্রথম গাড়িটি জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমানের শক্তিগড়ের কাছাকাছি এসে পৌঁছয়। দ্বিতীয় গাড়িটি না আসায় দাঁড়িয়ে পড়েন তাঁরা। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরেও দ্বিতীয় গাড়ির দেখা না পেয়ে পিছিয়ে যান। তখনই দেখেন রাস্তার ধারে দুমড়ে-মুচডে পড়ে রয়েছে সেটি। মারা গিয়েছেন ভিতরে থাকা এক দম্পতি ও তাঁদের পুত্রবধূ। আহত সঙ্গে থাকা এক শিশু ও গাড়ির চালক। খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। বুধবার ময়না-তদন্ত করা হয়েছে কলকাতার কসবা এলাকার বাসিন্দা ওই বিনয় শ্রীবাস্তব (৫২), মনোরমা শ্রীবাস্তব (৪৮) ও তাঁদের পুত্রবধূ জুহি শ্রীবাস্তবের (২৫)।
এ দিন হাসপাতালে দাঁড়িয়ে বিনয়বাবুর ভাই উদয়প্রসাদ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার খবর পেয়েই কলকাতা থেকে ছুটে এসেছি। এ ভাবে আমাদের পরিবারে বিপর্যয় নেমে আসবে ভাবতে পারিনি!’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ২টো নাগাদ শক্তিগড় ঢোকার আগে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের উল্টো দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিনয়বাবুদের গাড়িটি প্রথমে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। তখনই আর একটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাক পিছন থেকে তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা মারে, দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের। তাঁরা জানান, গাড়ি আর ট্রাকের মাঝে কার্যত পিষে মারা যান তিন জন। পরে, পুলিশ ট্রাকটিকে আটক করতে পারলেও দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটির খোঁজ মেলেনি। ধরা যায়নি ট্রাকের চালককেও।
মৃতদের এক আত্মীয় মনিদেবী শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘এক বছরের বাচ্চাটা মায়ের কোলে ছিল। ধাক্কায় সিটের নীচে, পায়ের কাছে পড়ে যায়। বেঁচে গেলেও ওর পায়ে আঘাত লেগেছে। মা ছাড়া, ওকে কী ভাবে সামলাব জানি না!’’