রানিগঞ্জে এই জমি দখল হয়েছে বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
ইসিএলের জমি দখল করে বিক্রি করে দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা, অভিযোগ উঠছে খনি অঞ্চল জুড়েই। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাদ যাচ্ছে না পরিত্যক্ত খোলামুখ খনি এলাকাও। পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রবিবারই রানিগঞ্জের পিওর সিহারশোল এলাকায় জমি ঘেরার কাজ করার সময়ে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে।
খনি-শিল্পাঞ্চলের নানা প্রান্তেই এ ভাবে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, অন্ডালের উখড়ায় চনচনি কোলিয়ারির কাছে একটি ছোট গাড়ির শো-রুম তৈরি হয়েছে ইসিএলের জমিতে। পিওর সিহারশোল ৫ নম্বর কলোনিতে তিন একর জমি দখল করে বিক্রি করতে একটি চক্র সক্রিয় হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে ৫ জন সেখানে বাড়িও করেছেন। রনিসায়েরে জলট্যাঙ্কের সামনেও অনেকে দখল জমিতে বাড়ি করেছেন বলে এলাকাবাসীর দাবি। বল্লভপুর পঞ্চায়েতের সাহেবগঞ্জে জমি ও জলা ভরাট, মহাবীর ও মঙ্গলপুর এলাকায় পরিত্যক্ত খনির একাংশ ভরাট করে আবাসন তৈরি, শীতলদাস কোলিয়ারি এলাকায় দখল করা জমিতে বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠেছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, জমির বেশ কয়েকটি মাফিয়াচক্র গড়ে উঠেছে। তাদের সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক নেতা, পুলিশকর্মীদের একাংশের যোগসাজস রয়েছে। তাই প্রতিবাদ করেও ফল হচ্ছে না বলে দাবি এলাকাবাসীর। তাঁরা জানান, প্রতি কাঠা জমি বিক্রি হচ্ছে ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকায়। বাড়ির নকশা অনুমোদন না করিয়েই অনেকে বাড়ি তৈরি করছেন।
উখড়া পঞ্চায়েতের প্রধান দয়াময় সিংহ বলেন, ‘‘চনচনি রাস্তায় একটি গাড়ির শো-রুম তৈরি হয়েছিল। ব্যবসার বৈধ অনুমতি দেখাতে না পারায় কিছু দিন আগে আমরা ব্লক প্রশাসনের সাহায্যে সেটি বন্ধ করে দিয়েছি।’’ সম্প্রতি ইসিএলের সাতগ্রাম এরিয়ার পিওর সিহারশোল ৫ নম্বর কলোনিতে দখল করা জমি বিক্রি ও বাড়ি তৈরি হচ্ছে বলে রানিগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন খনি কর্তৃপক্ষ।
আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘রবিবার সিহারশোল এলাকায় ইসিএলের জমি দখল করে নির্মাণের অভিযোগ শুনেই পুলিশকে জানিয়েছি।’’ তবে ইসিএলের নিজেদের জমি রক্ষায় আরও তৎপর হওয়া উচিত বলে দাবি করেন তিনি। ইসিএল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানান, তাঁরা জমি দখল নজরে এলেই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।