চুরি হয়েছে হাসপাতাল পাড়ার এই সব দোকানে। —নিজস্ব চিত্র।
রাতে একই চত্বরে পরপর ছ’টি দোকানে চুরির চেষ্টা হল কাটোয়ায়। সোমবার রাতে কাটোয়ার হাসপাতাল পাড়ায় পাঁচটি ওষুধের দোকান ও একটি মিষ্টির দোকানে তালা খোলে দুষ্কৃতীরা। দু’টি দোকানে ক্যাশবাক্স ভেঙে লুঠ হয়েছে বলে অভিযোগ। বাকি দোকানগুলি থেকে অবশ্য তেমন কিছু খোয়া যায়নি বলে ব্যবসায়ীরা জানান। তবে শহরের মধ্যে এক সঙ্গে এতগুলি দোকানের তালা ভাঙার ঘটনায় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। রাতে আরও বেশি পুলিশি নজরদারির দাবি তুলেছেন তাঁরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতোই রাত ১০টা নাগাদ হাসপাতাল পাড়ার ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করেন। তাঁদের বেশিরভাগেরই এই এলাকা থেকে কিছু দূরে গোয়ালপাড়া, ক্ষেপাকালীতলা ইত্যাদি এলাকায়। মিষ্টি বিক্রেতা সজল ঘোষ অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ দোকান খুলতে এসে দেখেন, দোকানের শাটার ইঞ্চি দুয়েক উপরে তোলা। দোকানে ঢুকে দেখতে পান, ক্যাশবাক্স লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে রয়েছে।
একই রকম ভাবে দোকান খুলতে এসে শাটারের তালা খোলা দেখেন একটি ওষুধের দোকানের মালিক সোমনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘শাটার ভাঙা হয়নি। ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে খোলা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’’ সোমনাথবাবু ও সজলবাবুর অভিযোগ, তাঁদের দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা করে চুরি গিয়েছে। তবে আরও চারটি ওষুধের দোকানের তালা ভাঙা হলেও সেগুলিতে ক্যাশবাক্সে বিশেষ টাকা না থাকায় দুষ্কৃতীরা কিছু পায়নি বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
এই ঘটনার পরে রাতে এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। কাছারি রোড, স্টেশন বাজারের ব্যবসায়ীরা নিজেদের খরচে রাতপাহারার ব্যবস্থা করেছেন। তবে হাসপাতাল পাড়ায় সে রকম ব্যবস্থা এখনও নেই। ব্যবসায়ী সজল ঘোষ, গোলাপ রহমানেরা বলেন, ‘‘রাতপাহারার ব্যবস্থা যাতে করা যায় সে নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’’ কাটোয়া মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির তরফে বিদ্যুৎ নন্দী বলেন, ‘‘পাহারার ব্যবস্থা না হলে যে কোনও দিন বড় ধরনের চুরির ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশাসনের কাছে উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।’’
পুলিশ জানায়, ওই এলাকায় রাতে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা নিজেরা পাহারার ব্যবস্থা করার আগে পর্যন্ত সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করার ভাবনা রয়েছে।