অফিস স্যানিটাইজ়। নিজস্ব চিত্র
করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলায় কালনায় ফের কয়েকদিন বিকেল থেকে এলাকা ‘লকডাউন’ করার সিদ্ধান্ত নিল মহকুমা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বুধবার কালনা শহরে কয়েকজন করোনা-আক্রান্তের সন্ধান মেলে। তার মধ্যে চার জন সুপার স্পেশালিটি ও মহকুমা হাসপাতালের কর্মী।
এখন কালনা শহরে বিকেল ৫টা থেকে পর দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত চলছে ‘লকডাউন’। এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ, বৃহস্পতিবার। বুধবার শহরের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন মহকুমাশাসক (কালনা) সুমনসৌরভ মোহান্তি, পুরসভার প্রশাসক দেবপ্রসাদ বাগ, কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, কালনা থানার ওসি রাকেশ সিংহ-সহ পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকেরা। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে ঠিক হয়েছে, শহরে ‘লকডাউন’-এর মেয়াদ বাড়ানো হবে। তা ফের শুরু হবে ২ অগস্ট থেকে। একই ভাবে বিকেল ৫টা থেকে পর দিন সকাল পর্যন্ত দিন পনেরো ধরে চলবে ‘লকডাউন’।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ দিন বৈঠকে বাজারগুলিতে, বিশেষত চকবাজার এলাকায় ভিড় জমার কথা উঠে আসে। ঠিক হয়েছে, সকাল ১১টার মধ্যে শহরের চকবাজার, ছোট দেউড়িবাজারে আনাজ-মাছ কেনাবেচা শেষ করতে হবে। মাছ ও আনাজ বিক্রেতারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দু’টি ভাগে এক দিন অন্তর বাজারে বসবেন। দেবপ্রসাদবাবু বলেন, ‘‘চকবাজারের মাছের বাজারটিকে অন্যত্র সরানোর প্রস্তাবও উঠেছে বৈঠকে। তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।’’
এ দিন পর্যন্ত কালনা শহরে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ জন। এর মধ্যে এক সঙ্গে হাসপাতালের চার কর্মী আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসক, নার্স-সহ কালনা হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে এক জনকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বর্ধমানে। কালনা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই জানান, আক্রান্তেরা উপসর্গহীন। তবে তাঁদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসায় ১৬ জনকে নিভৃতবাসে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ দিন হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, সুপার স্পেশালিটি বিভাগের প্রায় ৫০ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সুপার বলেন, ‘‘এ ভাবে সংক্রমণ ছড়ালে এবং পরবর্তীতে চিকিৎসক, নার্সেরা আক্রান্ত হলে পরিষেবা দেওয়া মুশকিল হবে।’’ এই পরিস্থিতিতে শহরে কড়া ‘লকডাউন’ প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।