Murder

ব্যবসায়ী খুনের পিছনে পরিচিত কেউ, সন্দেহ

সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ নিজের কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন সুদের কারবারি উমাশঙ্কর চৌহান। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তখন তিন জন কর্মীর সঙ্গে কাজ করছিলেন উমাশঙ্কর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কুলটি শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৩৯
Share:

এই এলাকায় খুনের ঘটনা ঘটে সোমবার। নিজস্ব চিত্র

দিনেদুপুরে কার্যালয়ে ঢুকে ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের ঘটনার তদন্তে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বিশেষ এগোতে পারেনি পুলিশ। কুলটির চিনাকুড়ির ওই ঘটনায় কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, সব দিক খোলা রেখে একাধিক দল গঠন করে তদন্ত চলছে। সোমবার রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা।

Advertisement

সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ নিজের কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন সুদের কারবারি উমাশঙ্কর চৌহান। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তখন তিন জন কর্মীর সঙ্গে কাজ করছিলেন উমাশঙ্কর। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ওই তিন জনকে আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় এক জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, বাকি দু’জনকে দীর্ঘ জেরা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। পুলিশ জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দল। ঘণ্টা দেড়েক ধরে ঘটনাস্থলে থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন বিশেষজ্ঞেরা। ডিসিপি (পশ্চিম) অশিস মৌর্য শুধু বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে।’’

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই ঘটনায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ, প্রথম বার কার্যালয়ে ঢুকে আততায়ী একাধিক জনকে দেখে নিশ্চিত হতে পারেনি, লক্ষ্য কে। তাই দু’চার কথা বলার পরে কার্যালয়
থেকে ফোন করতে করতে বেরিয়ে যায়। পরে ফিরে এসে ব্যবসায়ীকে পর পর গুলি করে পালিয়ে যায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত মৃতের পরিচিত। কারণ, প্রায় ১৫ দিন ওই ব্যবসায়ী চিনাকুড়িতে ছিলেন না। রবিবার বিকেলে তিনি সপরিবার ফিরেছেন। সোমবার দুপুরে তিনি খুন হন। অর্থাৎ, ব্যবসায়ীর গতিবিধি অভিযুক্ত জানত। পরিচিত ছাড়া কারও পক্ষে তা জানা সম্ভব নয়। পুলিশের অনুমান, আততায়ীরা আগে থেকে এলাকার পথঘাট ভাল ভাবে জেনে এই কাজে নেমেছে। খুনের আগে তারা বার কয়েক ‘রেইকি’ করেছে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। কারণ, ঘটনাস্থল জনবহুল এলাকা। দুপুরে ওই সময়ে প্রচুর জমসমাগম থাকে। তাই পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আগে থেকেই ছকে রেখেছিল দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়না-তদন্তের পরে মঙ্গলবার সকালে দেহ সৎকার হয়। আগের দিনের ঘটনায় মঙ্গলবারও আতঙ্ক ছিল এলাকায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাহারা থাকলেও, বাসিন্দারা চিন্তামুক্ত হতে পারেছেন না বলে দাবি করেন। তাঁরা জানান, ওই ব্যবসায়ী সুদের কারবার করলেও নির্বিরোধী বলেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন। ভরদুপুরে তাঁকে কে বা কারা খুন করল, ধন্দে সব পক্ষই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement