ছাঁটাই-সিদ্ধান্তে বিতর্ক

সিপিএমের মনোজ সাউয়ের দাবি, ‘‘১৬ জন কাউন্সিলরের ১৩ জনই ছাঁটাইয়ের পক্ষে ছিলেন না। পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায় বিষয়টি নিয়ে ‘দ্বিচারিতা’ করেছেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুসকরা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৭ ০২:১১
Share:

বাম আমলে নিয়োগ হওয়া ১৬ জন অস্থায়ী কর্মীকে ছাঁটাই করল তৃণমূল পরিচালিত গুসকরা পুরবোর্ড। শনিবার বিকেলে জরুরি বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু জটিলতা থাকায় এই সিদ্ধান্তের ফলে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

Advertisement

গুসকরার বিরোধী দলের নেতা সিপিএমের মনোজ সাউয়ের দাবি, ‘‘১৬ জন কাউন্সিলরের ১৩ জনই ছাঁটাইয়ের পক্ষে ছিলেন না। পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায় বিষয়টি নিয়ে ‘দ্বিচারিতা’ করেছেন।’’ তৃণমূল কাউন্সিলর মল্লিকা চোঙদারের আবার দাবি, ‘‘ছাঁটাই প্রশ্নে হাইকোর্টে মামলা চলছে। এই পরিস্থিতিতে পুরসভার সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি।’’

পুরসভা সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি পুরসভা স্থায়ী কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। করণিক পদে (তৃতীয় শ্রেণি) নিয়োগের পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছিল। শাসক দলের এক কাউন্সিলরের বিরোধিতায় তার ফল বের করতে পারেনি পুরসভা। আবার ১৮ জন অস্থায়ী কর্মী করণিক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা ও স্থায়ী হওয়ার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। সে জন্য ওই নিয়োগ প্রক্রিয়াও বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যেই ছুটির দিনে বিশেষ বৈঠক ডেকে ওই আঠারো জনের মধ্যে ১৬ জনকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিপিএমের পাঁচ কাউন্সিলর পুরপ্রধানকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘আপনি এই নিয়োগ নিয়ে দ্বিচারিতা করছেন। পুরবোর্ডের সভায় এক বলছেন, কার্যক্ষেত্রে অন্য ভূমিকা নিয়েছেন। হাইকোর্টের আদেশকে অমান্য করা পুরসভার উচিত হয়নি’। এ দিন বৈঠক শেষে পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায় যদিও বলেন, “ওই অস্থায়ী কর্মীরা পুরসভার কোনও কাজ করছিলেন না। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মানছিলেন না। বারবার অবজ্ঞা করে পুরসভার ভিতরে রাজনীতি করছিলেন। সংশোধনের সুযোগ দিয়েও লাভ হয়নি। তাই ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ারই চেষ্টা করেছি।’’

Advertisement

যদিও ওই ছাঁটাই হওয়া পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়ে সিপিএম নেতা আলমগীর শেখ বলেন, “পরিবারগুলিকে নিয়ে এক দিকে আন্দোলন ও অন্য দিকে আইনি লড়াই করব।’’ আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার বলেন, “দলের এক কাউন্সিলর এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আমার স্পষ্ট বক্তব্য, বিষয়টি পুরসভার। সেখানে আমার কোনও ভূমিকা নেই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement