আউশগ্রামের এই রাম মন্দিরেই হবে অনুষ্ঠান। নিজস্ব চিত্র।
অয্যোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের দিন জাঁকজমক করে উৎসব হবে গুসকরার আলুটিয়ার রামন্দিরেও, এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট বোর্ড। ২২ জানুয়ারি বিশেষ পুজো, প্রসাদ বিলির আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অযোধ্যা থেকে আসা এক সন্ন্যাসীর উদ্যোগে প্রায় ৩৭ বছর আগে এই মন্দির তৈরি হয়। জায়গা দেন স্থানীয় বাসিন্দা কুড়োবালা দেবী, পরেশনাথ মণ্ডল, অসীম মুখোপাধ্যায়, রবিন্দ্রনাথ দত্ত, বিবেকানন্দ রায়, নিতাই দত্তদের মতো স্থানীয় বাসিন্দারা। মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সহ-সভাপতি বংশীবদন রায় বলেন, “প্রতি বছর গুরুপূর্ণিমা, রামনবমীতে মন্দিরে অনুষ্ঠান হয়।’’
মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ জানুয়ারি দিনভর পুজোপাঠ, হোমযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। ভক্তদের মিহিদানা প্রসাদ দেওয়া হবে। জ্বালানো হবে এক হাজার আটটি প্রদীপ। আলোয় সাজবে মন্দির। বিশেষ তোরণ তৈরি করা হবে। বুধবার থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক অরুণ চৌধুরী বলেন, ‘‘২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন হবে। আলুটিয়ায় আগে থেকেই রাম-সীতার মন্দির রয়েছে। এখানকার সাধক পশুপতিনাথের সঙ্গেও অযোধ্যার নিবিড় যোগাযোগ ছিল। আমরা অযোধ্যার রামমন্দিরের অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে না পারলেও, এখানে অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ তাঁর দাবি, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদ আগরওয়ালের দাবি, এলাকার মানুষের স্বতস্ফূর্ত আর্জিকে সম্মান জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হবে ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে দাবি তাঁদের।
আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার জানান, ধর্মাচরণে কোনও বাধা নেই। তবে নিমন্ত্রণ পেলেও তিনি যাবেন কি না, ভেবে দেখবেন।