জন্ম থেকেই দাঁত, অস্ত্রোপচারে সুস্থ

জন্মের সময় থেকেই নীচের মাড়িতে একটি দাঁত (ন্যাটাল টুথ) থাকায় জিভে ঘা হয়ে গিয়েছিল চার সপ্তাহের খুদে অদৃতি পালের। দিনে দিনে রুগ্ন হয়ে যাচ্ছিল শরীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৯
Share:

জন্মের সময় থেকেই নীচের মাড়িতে একটি দাঁত (ন্যাটাল টুথ) থাকায় জিভে ঘা হয়ে গিয়েছিল চার সপ্তাহের খুদে অদৃতি পালের। দিনে দিনে রুগ্ন হয়ে যাচ্ছিল শরীর। সোমবার ঝুঁকি নিয়ে সেই দাঁত তুলে দিলেন দন্ত চিকিৎসক। সফল ওই অস্ত্রোপচারের পরে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন অদৃতির বাবা-মা।

Advertisement

দুর্গাপুরের গোপালমাঠের বাসিন্দা বেসরকারি কারখানার কর্মী দিব্যায়ন পাল ও তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা জানান,
তাঁদের মেয়ে অদৃতির নীচের মাড়িতে জন্মের সময় থেকেই একটি দাঁত ছিল। জিভে দাঁত ঘসে ঘসে ঘা হয়ে গিয়েছিল। তার জেরে দিন কয়েক আগে থেকে অদৃতি বুকের দুধ খাওয়া প্রায় ছেড়েই দেয়। তখন ওই দম্পতি দন্ত চিকিৎসক রূপম সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

রূপমবাবু জানান, অদৃতির দাঁতটি প্রথমে ঘসে সমান করার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু কিছু দিন পরে আবার সমস্যা হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে সোমবার অদৃতির দাঁত তুলে দেন।

Advertisement

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের দাঁতের গঠন দুধের কিংবা স্থায়ী দাঁতের গঠন থেকে আলাদা হয়। আকারেও কিছুটা ছোটো হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ন্যাটাল টুথ মাড়িতে আটকে থাকে। সে জন্য অনেক সময় এমন দাঁত নড়বড়ে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবার নিজে থেকে সেই দাঁত উঠে গেলে তা শ্বাসনালীতে ঢুকে বিপদের সম্ভাবনাও থাকে।

হলদিয়া ডেন্টাল কলেজের শিক্ষক রূপমবাবু বলেন, ‘‘এতটুকু শিশুর দাঁত তোলা বেশ ঝুঁকির। কিন্তু অন্য উপায় না থাকায় সে পথ নিতে হয়।’’ এখন অদৃতি সুস্থ বলে জানিয়েছেন রূপমবাবু। হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন পাল দম্পতিও। প্রিয়াঙ্কাদেবী বলেন, ‘‘মেয়েকে নিয়ে রাতের ঘুম উবে গিয়েছিল। এখন ও ভাল আছে।’’

দুর্গাপুরের দন্ত চিকিৎসক অঙ্কন মাঝিও এ ধরনের অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘আমারও এই ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু এই ধরনের অস্ত্রোপচার করার সময়ে অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা
নিতে হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement