কাটোয়ার এক স্কুলে অনুষ্ঠান। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিক্ষক দিবস উপলক্ষে গোটা জেলা জুড়েই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শনিবার, বর্ধমানে জেলা শিক্ষক দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে একশো জন শিক্ষককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) খগেন্দ্রনাথ রায়, বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামাণিক, শিক্ষক নেতা রথীন মল্লিক প্রমুখ।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির তরফে কাটোয়ার সার্কাস ময়দানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরাশর দত্ত বলেন, ‘‘এ দিন সদ্য শিক্ষকতায় যোগ দেওয়া মাস্টারমশাইদেরও বরণ করা হয়।’’ বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতর থেকেও কাটোয়া পুরসভার উত্তরণ সভাগৃহেও শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছিলেন বিদ্যালয় পরিদর্শক অন্তরা বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে আদিবাসী নৃত্য পরিবেশন করেন ভাটগাছা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বিজ্ঞান পরিষদ ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সান্ধ্য সংস্কৃতি সঙ্ঘ ও সুজন সন্ধান সমিতির তরফে ৬ জন প্রবীণ শিক্ষককে সংবর্ধনা জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সম্পাদক প্রবীর আচার্য।
শিক্ষক দিবসে কালনা বিধানসভা এলাকার ১২৭ জনকে কৃতী পড়ুয়া, শিক্ষক ও যাত্রাশিল্পীকে সংবর্ধনা জানানো হয়। কালনার পুরশ্রী ভবনে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু, মেমারির বিধায়ক আবু হাসেম মণ্ডল, বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রিয়ব্রত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানে লেখক নিত্য শিকদারের একটি বইও প্রকাশ করা হয়। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পড়ুয়াদের জন্য কালনার নারেঙ্গা গ্রামে একটি কোচিং সেন্টারের উদ্বোধন করা হল। সেন্টারের উদ্যোক্তা ‘আয়মা’ নামে একটি সংস্থা। সংস্থার তরফে সাদ্দাম শেখ জানান, এলাকার পাঁচ জন উচ্চশিক্ষিত যুবক বিনা পারিশ্রমিকে পড়াবেন। সংগঠনের সদস্য আলাউদ্দিন শেখের বাড়ির একটি ঘরে শুরু হল সেন্টারটি। প্রথম দিন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ২২জন পড়ুয়া সেন্টারে ভর্তি হতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। সপ্তাহে ৩ দিন করে ক্লাস নেওয়া হবে।