—ফাইল চিত্র।
জেলায় তৃণমূলে কোনও রকম ভাঙন ধরার সম্ভাবনার কথা আসলে জল্পনা, সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এমনই দাবি করলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলায় দল ‘এককাট্টা’ রয়েছে বলে শনিবার বর্ধমান শহরের কালীবাজারে জেলা কার্যালয়ে বসে দাবি করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ।
শুক্রবার রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল সূত্রের দাবি, তার পর থেকেই দলের কোন স্তরের, কোন নেতা শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তা খোঁজ নিতে শুরু করেন নেতারা। ওই সন্ধ্যায় নাদনঘাটে তৃণমূল নেতৃত্ব বৈঠকও করেন। ওই বৈঠক সূত্রের খবর, জেলায় দলের চার বিধায়ক, প্রাক্তন বিধায়ক-সহ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বেশ কিছু কর্মাধ্যক্ষ ও সদস্যের সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হয়। শুভেন্দু কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থেকে মেদিনীপুরে ফেরার পথে কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, ভাতার, বর্ধমান উত্তর ও দক্ষিণ, জামালপুর, গলসি, মেমারির কোন-কোন নেতা দেখা করেছিলেন বিভিন্ন সূত্র ধরে খোঁজ নিতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কারা নানা এলাকায় ‘দাদার অনুগামী’ ফ্লেক্স লাগাতে মদত দিচ্ছেন, তা নিয়েও আলোচনা হয় বলে তৃণমূল সূত্রের দাবি।
এ দিন অবশ্য স্বপনবাবু দাবি করেন, ‘‘সবটাই বিজেপির চক্রান্ত। ভুয়ো খবর ছড়াতে, ভুয়ো পোস্টার মারতে যে বিজেপি পারে, তা বারবার দেখা গিয়েছে। বর্ধমান শহরেই দলের নেতার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে।’’ তাঁর বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের কাছে মায়ের আসনে রয়েছেন। তিনিই আমাদের নেতা-বিধায়ক-মন্ত্রী করেছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় আমরা এককাট্টা রয়েছি।’’
এ দিনই দেওয়ানদিঘিতে বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ফের স্বপনবাবু-সহ তৃণমূলের কয়েকজনকে ‘অপরাধী’ বলে অভিযোগ করেছেন। কিছু দিন আগে কালনাতেও একই ধরনের মন্তব্য করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। এ দিন স্বপনবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমার কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই, এটুকু বলতে পারি। বাকি জবাব দলের যুব নেতৃত্ব দেবে।’’ তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদারের দাবি, রবিবার বিকেলে দেওয়ানদিঘির মাঠে তথ্য তুলে ধরে, বিজেপিকে জবাব দেওয়া হবে।