বিক্ষোভে বিপাক এনআইটি হস্টেলে

বিক্ষোভকারী ঠিকাকর্মীদের অভিযোগ, এনআইটি-র বিভিন্ন হস্টেলে ঠিকাদার সংস্থার অধীনে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন। এখন নতুন ঠিকাদার বরাত পেয়ে তাঁদের বসিয়ে দিয়ে নতুন কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়ায় তাঁরা মুশকিলে পড়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৯ ০০:৩৭
Share:

বিক্ষোভ গেটে। নিজস্ব চিত্র

ক্যান্টিনের খাবার সরবরাহের ঠিকাদার সংস্থা বদলেছে দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে (এনআইটি)। তাঁদের পুনর্নিয়োগের দাবিতে পুরনো সংস্থার অধীনে কাজ করা ঠিকাকর্মীরা সোমবার থেকে এনআইটি-র গেটে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এর জেরে প্রায় সাতশো আবাসিক পড়ুয়ার খাবার নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন এনআইটি কর্তৃপক্ষ। বাইরে থেকে নিজেদের উদ্যোগে খাবার নিয়ে এসে কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে। এনআইটি-র ডিরেক্টর অনুপম বসুর অভিযোগ, ‘‘বাইরে থেকে খাবার আনতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে অচলাবস্থা না কাটলে সমস্যা জটিল হবে।’’

Advertisement

বিক্ষোভকারী ঠিকাকর্মীদের অভিযোগ, এনআইটি-র বিভিন্ন হস্টেলে ঠিকাদার সংস্থার অধীনে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন। এখন নতুন ঠিকাদার বরাত পেয়ে তাঁদের বসিয়ে দিয়ে নতুন কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়ায় তাঁরা মুশকিলে পড়েছেন। সোমবার তাঁরা নতুন সংস্থার কর্মীদের কাজে ঢুকতে বাধা দেন। ফলে, ক্যান্টিনের পরিষেবা ব্যাহত হয়। সমস্যায় পড়েন আবাসিকেরা। নতুন বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থা বিষয়টি এনআইটি কর্তৃপক্ষকে জানান। এনআইটি-র তরফে তা জানানো হয় প্রশাসনকে। পড়ুয়ারাও বিষয়টি মহকুমা প্রশাসনকে আলাদা ভাবে জানান। ডিরেক্টর অনুপমবাবু বলেন, ‘‘পুলিশের উদ্যোগে নতুন বরাত পাওয়া সংস্থার কর্তারা পুরনো ঠিকাকর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। এনআইটি কর্তৃপক্ষের মধ্যস্থতায় ঠিক হয়, নতুন সংস্থা পুরনো ছ’জন কর্মীকে কাজে নেবে। কিন্তু ১৫ জনের সবাইকে কাজে নিতে হবে, পুরনো কর্মীরা এই দাবিতে অনড় থাকায় সমস্যা মেটেনি।’’ তাঁর দাবি, পুরনো কর্মীদের বিরুদ্ধে নিম্নমানের খাবার দেওয়া, দুর্ব্যবহার-সহ নানা অভিযোগ বারবার জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। এখন নতুন সংস্থার অধীনেও তাঁরাই কাজ করলে সমস্যা মিটবে না। তিনি বলেন, ‘‘জবরদস্তি মেনে নেওয়া হবে না।’’

এনআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর থেকে কর্তৃপক্ষ বাইরে থেকে খাবারের প্যাকেট এনে পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। বিক্ষোভকারীরা প্রথমে বাধা দিলেও পরে ভিতরে খাবার নিয়ে যেতে দেন। এনআইটি-র রেজিস্ট্রার সৌম্য সেনশর্মা বলেন, ‘‘এত জনের খাবার, শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে আনতে হচ্ছে। তার উপরে খাবারের গাড়ি ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। চূড়ান্ত সমস্যায় রয়েছি আমরা।’’ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিস্থিতি বদলায়নি। বিক্ষোভকারীদের অবশ্য দাবি, বাইরে খাবার নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু খাবার সরবরাহকারীকে ভিতরে যেতে দিচ্ছেন না তাঁরা।

Advertisement

মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে বলেন, ‘‘এনআইটি-র পড়ুয়ারা এবং এক জন আধিকারিক সমস্যার কথা জানাতে এসেছিলেন। লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেছি। নতুন বরাত পাওয়া সংস্থা যদি ঢুকতে বাধা পায়, অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement