Asansol

আসানসোলের কলেজে প্রাক্তনের হাতে যৌন হেনস্থা ছাত্রীর! অভিযুক্ত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে দাবি বিজেপির

কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, অভিযুক্ত এক জন বহিরাগত। ঘটনার পর থেকে তাঁর খোঁজ মেলেনি। বিজেপির দাবি, অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ‘ঘনিষ্ঠ’।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:০২
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

কলেজ ক্যাম্পাসে এক ছাত্রী যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ। আসানসোলের রানিগঞ্জের টিডিবি কলেজের ঘটনা। এই ঘটনার পরে আবার প্রশ্নের মুখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের নিরাপত্তা। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নির্যাতিতা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই রানিগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Advertisement

কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, অভিযুক্ত এক জন বহিরাগত। ঘটনার পর থেকে তাঁর খোঁজ মেলেনি। বিজেপির দাবি, অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ‘ঘনিষ্ঠ’। তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছেন, রাজনৈতিক আশীর্বাদ ছাড়া এরা এ রকম করতে পারে না।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিলন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিভাবকের তরফে একটি অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্ত কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র। মিলন জানিয়েছেন, এই ঘটনাটি কলেজের পরিচালন সমিতিকে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশে রানিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর পরেই কলেজ ক্যাম্পাসে আসে রানিগঞ্জ থানার পুলিশ। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, পুলিশের হাতে সিসিটিভি ফুটেজ তুলে দেওয়া হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য পুলিশকে কলেজের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রী এবং তাঁর পরিবারকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। সে কারণে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা।

Advertisement

রানিগঞ্জ ব্লকের বিজেপি সভাপতি দেবজিৎ খাঁ দাবি করেছেন, অভিযুক্ত তৃণমূল-‘ঘনিষ্ঠ’। তাঁর কথায়, ‘‘ভর্তির নাম করে ছাত্রীকে হেনস্থা করেছেন বহিরাগত। নির্যাতনের চেষ্টা করেন। অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলের ঘনিষ্ঠ। এই ঘটনা কলেজ-সহ রানিগঞ্জকে কালিমালিপ্ত করছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। নয়তো পথে নামব আমরা।’’

স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি ঘটনাটা শুনলাম অধ্যক্ষের কাছে। ছেলেটির নাম আগেও শুনেছি। কলেজ থেকে পাঁচ বছর আগে পাশ করেছেন। তবু কলেজে জমিদারি চালান। আমি অধ্যক্ষকে বলি, আপনি থানায় জানান। এর আগেও এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। এই প্রথম একটি মেয়ে মুখ খুললেন।’’ এর পরেই হতাশা প্রকাশ করেছেন তাপস। তিনি বলেন, ‘‘আমি ক্লান্ত। কলেজে বহিরাগতের দাপট বহাল রয়েছে। অধ্যক্ষকে অপমান করে এঁরা। পুলিশ কত করবে? শিক্ষকেরা থাকতে চাইছেন না। সকলে আতঙ্কিত। এঁরা সাহস পান কী ভাবে? রাজনৈতিক আশীর্বাদ ছাড়া এরা এটা করতে পারে না। ১৮ বছর ধরে আমি বিধায়ক। যাঁরা করছেন, পাপ করছেন। প্রোটেকশন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। ওসিকে বলেছি, আইনের পথে থেকে বিচার করুন। সিপিকে চিঠি দিয়েছি। কলেজটিকে বাঁচান।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement