গেট বন্ধ নিয়ে ধস্তাধস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের সঙ্গে

দশ দিন আগে পরীক্ষার নোটিস, চলল বিক্ষোভ

১ এপ্রিল থেকে ওই কোর্সগুলির পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষার নোটিস দেওয়া হয়েছে ২০ মার্চ। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, আচমকা এই ঘোষণায় বিপদে পড়েছেন তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ০০:৩৫
Share:

রাজবাটি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র

এপ্রিলের গোড়াতেই তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু হবে বলে নোটিস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দশ দিনের নোটিসে পরীক্ষা দিতে রাজি নন পড়ুয়ারা। সোমবার পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পেশাদাবি পাঠ্যক্রমের পড়ুয়ারা। বচসা, গোলমাল বাধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের সঙ্গেও। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দেন।

Advertisement

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত রাজ কলেজ, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, বিআইএমএস-সহ বেশ কিছু কলেজে বিভিন্ন পেশাদারি কোর্স পড়ানো হয়। এর মধ্যে বিবিএ, বিসিএ, বায়ো-টেকনোলজির মতো কোর্সও রয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে ওই কোর্সগুলির পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষার নোটিস দেওয়া হয়েছে ২০ মার্চ। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, আচমকা এই ঘোষণায় বিপদে পড়েছেন তারা। শুধুমাত্র সোমবার ফর্ম পূরণ করার দিন দেওয়া হয়েছে। ওই দিন কারও সমস্যা হলে ফর্ম পূরণ করারও সুযোগ থাকবে না। এ দিন পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবির সঙ্গে ফর্ম পূরণের দিন বাড়ানোরও আর্জি জানান তাঁরা। উপাচার্য না থাকায় রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করে দাবিপত্র দেন কয়েকশো ছাত্র। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও লিখিত আশ্বাস না থাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।

দীর্ঘক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভ দেখানোর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশদ্বারে তালা ঝুলিয়ে দেন কয়েকজন ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীরা বেরতে গেলে তাঁদের সঙ্গে বচসা বাধে ছাত্রছাত্রীদের। বচসা গড়ায় ধস্তাধস্তিতে। এক ছাত্রীর পায়ে ও অন্য এক ছাত্রীর হাতে আঘাত লাগে বলেও অভিযোগ। কিছুক্ষণ গোলমাল চলার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও অন্য ছাত্রেরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পড়ুয়া শেখ ইউনুস, অমৃতা রায়, সৌমি ঘোষেদের দাবি, তাঁরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করার সময়ে কয়েকজন কর্মী তাঁদের চেয়ার নিয়ে মারতে আসেন। মূল গেট জোর করে খুলতে যাওয়ার সময় অনেক ছাত্রীর পায়ের উপর দিয়ে গেট সরানো হয় বলেও অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, মূল দরজা আটকে রাখায় অনেক কর্মী গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে যেতে পারছিলেন না। তাঁদের গাড়ির চাবি কেড়ে নেওয়া হয়। তাই নিয়ে অশান্তি হয়েছে। কারও গায়ে হাত দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের বচসার দুই ছবি। নিজস্ব চিত্র

রেজিস্ট্রার তোফাজ্জেল হোসেন পরীক্ষার সূচী তড়িঘড়ি প্রকাশ করা হয়েছে মেনে নিয়ে জানান, ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থেই তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা সূচী দ্রুত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী তাঁদের সমস্যা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় আলোচনা করবে। তবে ক্যাম্পাসে অশান্তি নিয়ে কিছু জানা নেই বলে তাঁর দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement