Strike

কারখানায় কাজ চেয়ে অবরোধ

পানাগড় শিল্পতালুকে বিক্ষোভ। দাবি একটাই, ‘কাজ চাই’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৮ ০৪:০৮
Share:

পানাগড় শিল্পতালুকে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

পানাগড় শিল্পতালুকের নির্মীয়মাণ কারখানায় কাজের দাবিতে বুধবার বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, বেকারদের কর্মসংস্থানের আশায় তাঁরা শিল্পের জন্য জমি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন বাইরে থেকে লোক এনে নিয়োগ করা হচ্ছে বিভিন্ন কারখানায়। স্থানীয়েরা কাজ পাচ্ছেন না।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম আমলে পানাগড় শিল্পতালুকের জন্য জমি অধিগ্রহণ করে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম। কারখানা চালু হলে খেতমজুর ও বর্গাদারদের ছেলেমেয়েদের কাজ দেওয়ার কথাও জানানো হয়, দাবি এলাকাবাসীর। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, শিল্পতালুকের সবথেকে বড় কারখানা পানাগড় সার কারখানায় স্থানীয়দের চাকরি হয়নি। একই অভিযোগ উঠেছে সিমেন্ট ও অন্য কারখানাগুলির বিরুদ্ধেও।

এর পরে এ দিন স্থানীয়দের নিয়োগের দাবিতে সকালে শিল্পতালুকের রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দাদের একাংশ। যদিও এই বিক্ষোভের জেরে বিভিন্ন কারখানায় যাতায়াতকারী যানবাহন চলাচলে তেমন অসুবিধা হয়নি। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে গোঁসাই বাগদির ক্ষোভ, ‘‘কোনও সংস্থাই আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে না। বাইরের লোকেদের কাজ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের বেকার ছেলেরা কাজ চাইতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের যার যেমন যোগ্যতা, অন্তত তেমনই কাজ দেওয়া হোক।’’

Advertisement

বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন সিপিএম নেতা কোহিনুর গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, অষ্টম শ্রেণির যোগ্যতামানে কারখানায় কাজ মিলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা। কিন্তু গ্রামের খেতমজুর, বর্গাদারদের অনেকেরই ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার তেমন সুযোগ পায় না। তিনি বলেন, ‘‘এই নিয়মের ফলে বড় অংশের মানুষ কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এলাকার পরিস্থিতি এমন ছিল না যে অভাবে জমি বিক্রি করতে হবে। জমি অধিগ্রহণের সময় আশায় ছিলেন স্থানীয়রা।’’ বিক্ষোভকারীদের একাংশের দাবি, আগে স্থানীয়দের কাজের ব্যবস্থা করে তারপরে বাইরের লোকদের নিয়োগ করা হোক। বিভিন্ন কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে, এখন অধিকাংশ কাজ হয় যন্ত্রে। তার জন্য উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন দক্ষ শ্রমিক দরকার। কারখানা তৈরির সময় স্থানীয়দের অনেকেই কাজ পেয়েছিলেন। কিন্তু কারখানা চালানোর জন্য তাঁরা উপযুক্ত নন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement