—প্রতীকী চিত্র।
অমিত শাহের সঙ্গে ‘কয়লা মাফিয়া’র দেখা করার অভিযোগ ঘিরে ভোটের আগের দিনও চাপানউতোর চলল খনি-শিল্পাঞ্চলে। এই ঘটনা নিয়ে শুক্রবার রাত থেকেই বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। ভোটের প্রচার শেষ হয়ে যাওয়ার পরে রবিবারও তা বন্ধ হয়নি। এ দিন পাল্টা সরব হয়েছে বিজেপিও।
শুক্রবার রাতে অন্ডাল বিমানবন্দরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বিদায় জানাতে বিজেপির যে ১৫ জনের প্রতিনিধি দল গিয়েছিল, তাঁদের সবাইকে কয়লা মাফিয়া বলে উল্লেখ করেছে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মুখপাত্র শশী পাঁজা— অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ওই তালিকায় নাম থাকা রানিগঞ্জের বক্তারনগরের জয়দেব খাঁয়ের নামে বেআইনি কয়লা কারবারের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু বাকি ১৪ জনের বিরুদ্ধে তেমন অভিযোগ নেই বলে দাবি করে বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জিতেন চট্টোপাধ্যায় জানান, তিনি তৃণমূলের অপপ্রচার নিয়ে অনলাইনে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, “মন্ত্রী যে তালিকা দেখিয়েছেন, তাতে আমি ছিলাম। এ ভাবে মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকে অপমান করা হয়েছে। আমার পরিবারের সম্মান নষ্ট করা হয়েছে।’’ ওই তালিকায় নাম ছিল দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়েরও। তাঁর দাবি, “মানুষ আর পাশে নেই দেখে তৃণমূলের সবাই পাগল হয়ে গিয়েছে। আমি দলের সর্বক্ষণের কর্মী, সবাই জানেন।”
পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, ‘‘শুক্রবারের ওই ঘটনা প্রমাণ করে দিচ্ছে, আসানসোল-রানিগঞ্জ শিল্পাঞ্চলের অবৈধ কয়লার কারবারের সঙ্গে বিজেপির আঁতাঁত রয়েছে। এ বার ভোটেও কয়লার টাকা ব্যবহার করে সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করবে বিজেপি। বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনেও জানিয়েছি।’’ নরেন্দ্রনাথের আরও অভিযোগ, এর আগে দেশের কয়লামন্ত্রী দুর্গাপুরে এসে সরকারি ব্যবস্থায় না থেকে এক কয়লা
মাফিয়ার হোটেলে রাত্রিযাপন করেছিলেন। তাঁর দাবি, ‘‘এ সব কয়লা মাফিয়াদের বিজেপি সমাজসেবী বলে উল্লেখ করে।’’
রাজ্যের মন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটকেরও দাবি, ‘‘শুক্রবারের ঘটনাই প্রমাণ করে দিচ্ছে, কয়লা কারবারিদের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক কত গভীর। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। সাধারণ মানুষকে এ নিয়ে ভেবে দেখার অনুরোধ করব।’’ শাহ ও জয়দেবের ছবি নিয়ে শনিবার বাড়ি বাড়ি প্রচারও করা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় যদিও দাবি করেন, জয়দেব খাঁয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়েছিল তৃণমূল।
তাঁরা বাড়ি বাড়ি প্রচার করে
তৃণমূলের চক্রান্তে কান না দেওয়ার অনুরোধ করছেন।