Mamata Banerjee

ডিসিএলে বেতন চালু, চর্চা মন্তব্যে 

বর্তমানে ওই কারখানায় ১৬৮ জন স্থায়ী কর্মী ও ২৫০ জন অস্থায়ীকর্মী রয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:২২
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রায় বছরখানেক ধরে উৎপাদন বন্ধ দুর্গাপুর কেমিক্যালস কারখানায় (ডিসিএল)। তা সত্ত্বেও বেতন পাচ্ছেন কর্মীরা। মঙ্গলবার রানিগঞ্জে সরকারি পরিষেবা প্রদানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শ্রমিকেরা আমাদের সম্পদ। ডিসিএল-এ ১১ মাস ধরে কারখানা বন্ধ। তার পরেও আমরা কিন্তু মাইনে দিচ্ছি।’’

Advertisement

ডিসিএল-এ উৎপাদন চালুর দাবিতে সিটু ও আইএনটিইউসি বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে একাধিক বার। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সিটু নেতা পঙ্কজ রায়সরকার বলেন, ‘‘বসে বসে মাইনে শ্রমিকেরা বেতন পেতে চান না। তাঁরা চান, উৎপাদন চালু হোক। দূষণের জন্য কারখানা বন্ধ হয়েছে। তখন রাজ্য সরকারের শিল্প দফতর কী করছিল? তা ছাড়া, বসে বসে মাইনে দেওয়াটা সরকারের কাজ নয়। শিল্পের অগ্রগতি বা অর্থনীতির প্রশ্নেও তা বেমানান।’’ আইএনটিইউসি নেতা উমাপদ দাস বলেন, ‘‘মাইনে তো কর্মীরা পাবেনই। কিন্তু কাজ থাকাটা জরুরি।’’ আইএনটিটিইউসি নেতৃত্বের দাবি, কারখানা ফের চালুর জন্য প্রক্রিয়া চলছে।

রাতুড়িয়া-অঙ্গদপুর লাগোয়া এলাকায় ডিসিএল গড়ে ওঠে ১৯৬৩ সালে। তবে সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে লোকসানে চলতে শুরু করে কারখানাটি। নানা পদক্ষেপের পরেও বিষয়টি সামাল না দেওয়া যাওয়ায় ২০১৬-য় কারখানাটি বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। এর পরে উৎপাদনেও ভাটা পড়ে। দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে ২০১৯-এর ৩০ ডিসেম্বর কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাকাপাকি ভাবে উৎপাদনও বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ওই কারখানায় ১৬৮ জন স্থায়ী কর্মী ও ২৫০ জন অস্থায়ীকর্মী রয়েছেন।

Advertisement

এ দিন রানিগঞ্জের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সব কিছু হয়তো দিতে পারি না। কিন্তু কারখানা বন্ধ। কাজ নেই। তবু বসে বসে মাইনে দিচ্ছি। যতটা পারব, করব। আমরা কিন্তু কারও রুজি-রোজগার বন্ধ করি না।’’ ডিসিএল-এর প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখার সময়ে তিনি মঞ্চে থাকা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস বিধায়ক তথা আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নেন। বিশ্বনাথবাবু বলেন, ‘‘অতিমারির সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার বেতন কেটেছে কর্মীদের। কিন্তু রাজ্য সরকার তা করেনি। দুর্গাপুরে শুধু ডিসিএল নয়, ডিপিএল-এর বন্ধ কোকআভেন প্ল্যান্টের কর্মীরাও নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement