ধর্মতলার পথে দুর্গাপুরের ৫০ জন। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাছ থেকে দেখার স্বপ্ন বহু দিনের। দুর্গাপুর শহরে বেশ কয়েক বার এসেছেন তিনি। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা। দূরে যাওয়া তো আরও কঠিন তাঁদের পক্ষে। কিন্তু বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তেমন ৫০ জন সমর্থককেই ২১ জুলাই, ধর্মতলার সভায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আলাদ বাসের ব্যবস্থা করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
সিটি সেন্টারে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সকাল ৬টা থেকে একে একে হাজির হন ওই ৫০ জন। কেউ একা এসেছিলেন, কেউ বা অভিভাবকের সঙ্গে। ছিলেন, তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়। তিনি আগেভাগেই বাসে উঠে প্রত্যেককে বাসে তোলার ব্যবস্থা করেন। সাড়ে ৬টায় দলীয় পতাকা নেড়ে বাসের যাত্রার সূচনা করেন দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র দিলীপ অগস্তি। ধর্মতলায় বিশাল জনসমাগমের মাঝে যাতে তাঁদের কোনও অসুবিধা না হয়, তা দেখার জন্য সঙ্গে যান বেশ কয়েক জন দলীয় কর্মী। উত্তমবাবু বলেন, ‘‘ওঁরা শহিদ দিবসের দিনে দুর্গাপুরে থাকেন ঠিকই। কিন্তু ওঁদের মন পড়ে থাকে ধর্মতলায়। এ বার তাঁরা যাতে সশরীরে ধর্মতলায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পারেন, তাই এই ব্যবস্থা।’’
এ দিন সকালে হুইল চেয়ারে চড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনের এসেছিলেন তপন ওরাং। স্ক্রাচ নিয়ে এসেছিলেন স্বপন রুইদাস। বাসের সামনে ও পিছনে সাঁটানো হয় দলের স্টিকার। পিছনের ব্যানারে ছিল প্রতিবন্ধী সংগঠনের কথাও। এ দিন সভায় যেতে পেরে খুশি তপনবাবুরা। তাঁর কথায়, ‘‘কোনও দিন বড় সভায় যেতে পারি না। শহিদ দিবসের বিশাল জনসভার কথা প্রতি বছরই শুনি। এ বার সেখানে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে খুব ভাল লাগছে।’’ স্বপনবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখার ইচ্ছেপূরণ হল এত দিনে।’’