Bardhaman

নিত্য অভাবের সঙ্গে যুঝে সফল সোমেশ্বর

সোমেশ্বর জানান, অভাবের কারণে পেশাদার কোনও কোচিং ইনস্টিটিউটে পড়ার  সুযোগ তাঁর হয়নি। বাড়িতেই পড়াশোনা করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেমারি শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২২ ০৯:২৮
Share:

সোমেশ্বর দাস। নিজস্ব চিত্র।

অভাব যার নিত্য সঙ্গী, মেমারির সেই সোমেশ্বর দাস চমকে দেওয়ার মতো ফল করেছে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে। পেয়েছে শিবপুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে পড়ার সুযোগ।

Advertisement

মেমারির শশীনারার বাসিন্দা সোমেশ্বরের বাবা পিন্টু দাস মোটরভ্যান চালিয়ে কোনও রকমে সংসার চালান। মা প্রতিমা দাস ঘরের কাজ দেখেন। বাড়িতে রয়েছেন ঠাকুমা। পিন্টুবাবু তার সামান্য রোজগার থেকেই দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন।

পিন্টু জানান, ছোট থেকেই পড়াশোনায় বাড়তি উৎসাহ ছিল সোমেশ্বরের। শশীনারা স্কুল থেকে ৬৭৭ পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেছিলেন। মেমারি বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দির (ইউনিট ১) থেকে ৪৭৫ পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার প্রবল ইচ্ছা নিয়ে শুরু করেছিলেন জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রস্তুতি।

Advertisement

সোমেশ্বর জানান, অভাবের কারণে পেশাদার কোনও কোচিং ইনস্টিটিউটে পড়ার সুযোগ তাঁর হয়নি। বাড়িতেই পড়াশোনা করেছিলেন। আর পেয়েছিলেন পাহাড়হাটী স্কুলের শিক্ষক চিন্ময় দাসের সাহায্য। তার জেরেই এসেছে সাফল্য। ভবিষ্যতে ‘এম টেক’ করার স্বপ্ন রয়েছে সোমেশ্বরের।

তাঁর সাফল্যে খুশি পরিবারের সকলে। তাঁর বাবা বলেন, ‘‘ছেলেকে গৃহশিক্ষক দিতে পারিনি। ও নিজের চেষ্টায় এই জায়গায় এসেছে। ওর জন্য গর্ব হচ্ছে।’’ ইঞ্জিনিয়ার হয়ে পরিবারের অভাব দূর করাই এখন লক্ষ্য সোমেশ্বরের। তিনি যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন, তার জন্য সকলের সহযোগিতা চেয়েছে তাঁর পরিবার।

সোমেশ্বরের শিক্ষক চিন্ময়বাবু বলেন, ‘‘ছেলেটি খুবই মেধাবী এবং পরিশ্রমী। অভাবের কারণে এই প্রতিভা যাতে হারিয়ে না যায়, তার জন্য ওকে সবরকম সাহায্য করি। ছেলেটি আমাদের মান রেখেছে। তবে ওর পরিবারের যা অবস্থা, তাতে কী ভাবে ছেলেটি পড়াশোনা চালিয়ে যাবে, তা নিয়ে চিন্তা রয়েই যাচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement