আগুনের গ্রাস থেকে যে টুকু বেঁচেছে, খোঁজ চলছে তার। নিজস্ব চিত্র
এক কিশোর পুড়ে যাওয়া বইপত্রই ঝেড়েঝুড়ে দেখছে কয়েকটা পাতা আস্ত রয়েছে কি না। আর তার মা খুঁজছেন, সরকারি পরিচয়পত্রটা। রবিবার সকালে দুর্গাপুরের পলাশডিহায় একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের পরে এমনই দৃশ্য দেখা গেল। পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মানস রায় জানিয়েছেন, বাড়ির যাবতীয় জিনিসপত্র পুড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাড়ির কর্ত্রী উপসী হেমব্রম পরিচারিকার কাজ করেন। কাজের সূত্রে এ দিন সকালেও তিনি বাড়ির রান্নার কাজ সেরে বেরিয়ে যান। বাড়িতে ছিল দুই ছেলে। দু’জনেই স্কুলে পড়ে। এক জন স্নান করতে গিয়েছিল বাড়ির পাশেই। অন্য জন বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিল। আচমকা এলাকাবাসী দেখেন, ওই বাড়িতে আগুন ধরেছে। এলাকাবাসী প্রথমেই ঘুমন্ত ওই কিশোরকে বাড়ি থেকে বার করেন। তার পরে তাঁরাই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। খানিক বাদে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু এলাকাবাসী জানান, ততক্ষণে সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় আসে পুলিশও।
উপসীদেবী জানান, ঘরের সব আসবাবপত্র, বাসন, জামাকাপড়, নগদ টাকা, সরকারি পরিচয়পত্র, ছেলেদের স্কুলের পাঠ্যবই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘বাড়িতে আগুন লেগেছে শুনে প়ড়িমরি করে ছুটে আসি। এসে দেখি, সব শেষ।’’
তবে কাউন্সিলর জানিয়েছেন, সরকারি ভাবে পরিবারটিকে কী ভাবে সাহায্য করা যায়, তা দেখা হচ্ছে। পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন এলাকাবাসীও। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন ধরে।