দলীয় নির্দেশ অগ্রাহ্য করার অভিযোগে কালনা শহর কংগ্রেসের সভাপতি লক্ষন রায়কে শো-কজ করলো জেলা নেতৃত্ব। জেলা নেতাদের দাবি, দলের উপরতলার নির্দেশ রয়েছে বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে মিটিং, মিছিল করার। কিন্তু লক্ষনবাবু তা মানেননি। যদিও লক্ষনবাবুর দাবি, এ রকম কোনও চিঠি তিনি পাননি। তবে পেলেও সিদ্ধান্ত বদল করবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মহকুমার যে ক’টি জায়গায় কংগ্রেসের ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে তার অন্যতম কালনা শহর। দীর্দিন ধরে দলের শহর সভাপতির পদে রয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা লক্ষনবাবু। দলীয় সূত্রে খবর, এ বার সিপিএম-কংগ্রেসে জোট হওয়ার পর থেকেই প্রচারে নামার ব্যাপারে বেঁকে বসেন লক্ষনবাবু। সাফ জানিয়ে দেন, সিপিএমের লোকজনের হাতে অতীতে তিনি মার খেয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। ফলে তাদের সঙ্গে প্রচারে নামবেন না তিনি। জেলা নেতাদের দাবি, বেশ কয়েকবার লক্ষনবাবুকে বোঝানো হয়। নির্বাচনী কাজে একসঙ্গে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে দলের কড়া নির্দেশ রয়েছে তাও জানানো হয়। কিন্তু পা বাড়াননি তিনি।
শনিবার পূর্বস্থলী ১ ব্লকের সমুদ্রগড় পঞ্চায়েতের নিমতলা মাঠে সভা করে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সভা মেটার পরে বর্ধমান জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আভাস ভট্টাচার্য জানান, কালনা শহরের সভাপতি নির্বাচনী কাজে যোগ না দিয়ে দলবিরোধী কাজ করেছেন। সে জন্য তাঁকে শো-কজ করা হয়েছে। এর সঙ্গেই শহরের দলের নির্বাচনী কাজকর্ম দেখার জন্য আহ্বায়ক পদে নিয়োগ করা হয় সুশান্তকুমার গাইনকে। আভাসবাবুর দাবি, নির্বাচন মেটার পরে লক্ষনবাবুকে নিয়ে দল বৈঠক করবে। সেখানেই ঠিক হবে তাঁকে সভাপতি পদে রাখা হবে কি না।
যদিও শো-কজের চিঠি পাননি বলেই দাবি করেছেন লক্ষনবাবু। তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার সিদ্ধান্ত বদল করব না। তাই কোনও প্রচারেই আমাকে দেখা যাবে না।’’ যদিও সদ্য নিয়োগ পাওয়া সুশান্তবাবুর দাবি, জোটবদ্ধ ভাবেই দলীয় নেতা কর্মীরা ভোটের কাজে নেমে পড়েছেন।