—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বর্ধমানে জোড়া দুর্ঘটনায় মারা গেলেন চার জন। প্রথমটি হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া বোলপুর রোডে। দ্বিতীয়টি ঘটেছে মঙ্গলকোটে।
ভাগীরথী থেকে জল তুলে শিবলিঙ্গের মাথায় ঢালার জন্য বাঁক কাঁধে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ১৭ জন পুণ্যার্থী। লাভপুর থানার গোপতা গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। সোমবার সন্ধ্যায় কেতুগ্রামের উদ্ধারণপুর ঘাটে ভাগীরথী নদীতে পুণ্যস্নান সেরে জল সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটে রওনা দেন গ্রামের উদ্দেশ্যে। সারারাত হেঁটে মঙ্গলবার সকালে পাশের গ্রাম ইন্দাসগোপ্তা মন্দিরে শিবলিঙ্গে ওই জল ঢালার পরিকল্পনা ছিল। পথে পিছন থেকে একটি বাইক এসে ধাক্কা দেয় পুণ্যার্থীদের। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক পুণ্যার্থী এবং বাইক চালকের। জখম আরও তিন জন পুণ্যার্থী এবং এক জন বাইক আরোহী। তাঁর ভর্তি হাসপাতালে। সোমবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া বোলপুর রোডে কেতুগ্রামের নিরোল বাসস্ট্যাণ্ডের কাছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম সোমনাথ দাস (২৯) এবং ফারুক শেখ (১৯)। সোমনাথের বাড়ি বীরভূম জেলার লাভপুর থানার গোপতা গ্রামে। ফারুক কেতুগ্রামের হাড়মুর গ্রামের বাসিন্দা। আর এক পুণ্যার্থী দুর্বল দাস এবং বাইক আরোহী হাসানুর শেখের অবস্থা সঙ্কটজনক।
অন্য দিকে, মঙ্গলবার সকালে মঙ্গলকোটে লরির সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে বাইক আরোহী দুই কিশোরের। তাদের নাম তফিজুল মণ্ডল (১৪) এবং মিরাজুল হক (১৪)। দু’জনেরই বাড়ি মঙ্গলকোটের বক্সিনগর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইদের ছুটিতে বক্সিনগর গ্রামের ওই দুই কিশোর বাড়ি এসেছিল। মঙ্গলবার সকালে তফিজুল বন্ধু মিরাজুলকে চাপিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছিল। তখন লরির সঙ্গে ধাক্কা। স্থানীয়েরা ছুটে এসে তড়িঘড়ি দুই কিশোরকে উদ্ধার করে মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা তফিজুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মফিজুলকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসার সময় তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছু ক্ষণ বাদশাহী রোডে যানবাহন আটকে পড়ে। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।