—প্রতীকী চিত্র।
কেন্দ্রের ‘অম্রুত’ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করল আসানসোল পুরসভা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। আগামী ১৫ বছরের জনসংখ্যার হিসাব ধরে তৈরি করা হচ্ছে এই প্রকল্প। ২০২৪-এর মধ্যে প্রকল্পটি তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা পুর কর্তৃপক্ষের।
আসানসোল পুরসভা এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে আসানসোলে দু’টি ও কুলটিতে একটি প্রকল্প চালু রয়েছে। কুলটির প্রকল্পটি অম্রুত প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের টাকায় তৈরি করা হয়েছে। এর পরেও আসানসোলের ৫৪টির মধ্যে সাতটি ওয়ার্ড ও কুলটির ২৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ছ’টিতে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া রানিগঞ্জে ১১টি ও জামুড়িয়ায় ১৩টি ওয়ার্ডের প্রায় সব কটিতেই কমবেশি পানীয় জলের সঙ্কট আছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি বছর গ্রীষ্মে জলের সঙ্কট চরমে ওঠে। যদিও ‘নির্জলা’ অঞ্চলগুলিতে ট্যাঙ্কারে করে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া ব্যবস্থা হয় বলে দাবি পুরসভার। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয় বলেও দাবি বাসিন্দাদের। আসানসোলের গাড়ুই, কল্যাণপুর, শ্যামদিহি, কুলটির থানামোড়, বরাকরের পাথরখাদ, কেঁদুয়া বাজার এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পানীয় জল আনতে তাঁদের রাত-বিরেতে কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। এই সঙ্কট মেটাতে অম্রুত প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকা কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের।
মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান, বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করে কেন্দ্রীয় অনুমোদন আনা হয়েছে। প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর পরে কাজে গতি আসবে। বিধান বলেন, “লক্ষ্য পুরসভা এলাকায় ২০২৪-এর মধ্যে প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। প্রকল্পটি আগামী ১৫ বছরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হিসেব ধরে করা হচ্ছে। অর্থাৎ এই প্রকল্প থেকে যে সব অঞ্চলে জল সরবরাহ করা হবে, সেখানে ২০৩৯ সাল পর্যন্ত আর জলকষ্ট থাকবে না। প্রকল্প তৈরির খরচ ধরা হয়েছে ২৫৫ কোটি টাকার কিছু বেশি।”
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে ‘ডামরা-আসানসোল’ ও ‘ডামরা-জামুড়িয়া’ প্রকল্প দু’টির উদ্বোধন হয়েছে। মেয়র জানিয়েছেন, বাকি তিনটির কাজও দ্রুত শুরু করে দেওয়া হবে। তাঁর সংযোজন: “নতুন প্রকল্প গড়ে দিলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। জলের অপচয় বন্ধ করতে না পারলে, সঙ্কট থেকেই যাবে। নতুন প্রকল্পে পরিবার পিছু ১৩৫ লিটার জল ধার্য করা হয়েছে। এই সীমা বেঁধে রাখার জন্য, জলের মিটার বসানো হচ্ছে। রাস্তার কল তুলে দেওয়া হচ্ছে।”