প্রতীকী ছবি।
খুদে পড়ুয়াদের পিঠে স্কুলব্যাগের ভার কমাতে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে দুর্গাপুরের কিছু স্কুল। ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করেছে একটি স্কুল। এ বিষয়ে পরিকল্পনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আরও নানা স্কুল কর্তৃপক্ষ।
১৯৯৩ সালে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে জমা দেওয়া যশপাল কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারী স্কুল ব্যাগ পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। ২০০৬ সালে স্কুলব্যাগের ওজন সংক্রান্ত একটি বিল রাজ্যসভায় পেশ হয়। কিন্তু তা আর এগোয়নি। তবে সিবিএসই ২০০৯ সালে নির্দেশিকা দেয়, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে স্কুলব্যাগের ওজন সর্বোচ্চ দু’কেজি, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্ষেত্রে তিন কেজি, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চার কেজির বেশি হবে না।
তা অবশ্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানা হয় না বলে অভিযোগ। খুদে পড়ুয়ারাও ৪-৫ কেজি ওজনের ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যেতে দেখা যায়। চিকিৎসকদের মতে, ব্যাগের ওজন পড়ুয়ার নিজের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। দুর্গাপুর শহরে বহু বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল রয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, একাধিক স্কুলের খুদেদের স্কুলব্যাগের ওজন তাদের নিজেদের ওজনের ২০-২৫ শতাংশ। তা কমাতে কিছু স্কুল ইতিমধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বই আনা বন্ধ করা হয়েছে। কোথাও খাতার বদলে চালু হয়েছে ওয়ার্কশিট।
কমলপুরের এক বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, দু’জন পড়ুয়াকে নিয়ে একটি করে দল করা হয়েছে। দু’জন অর্ধেক করে বই আনবে। সব বিষয়ের জন্য একটিই খাতা আনতে হবে। সপ্তাহে এক দিনে মাত্র একটি করে বিষয়ের হোমওয়ার্কের খাতা পরীক্ষা করা হবে। ব্যাগে যেন তার বেশি কিছু না নেয় পড়ুয়াটি, তা অভিভাবকদের নজর রাখতে বলা হয়েছে। ওই স্কুলের অধ্যক্ষ সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে আরও কিছু পদক্ষেপ করা হবে।’’